আল-শেইখে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করেছেন। এই আলোচনায় উপস্থিত রয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরাও। আলোচনা কয়েকদিন চলতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
বিবিসি-কে ফিলিস্তিন ও মিশরীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, এই বৈঠকে মূলত সম্ভাব্য বন্দিবিনিময়ের জন্য ‘মাঠ পর্যায়ের পরিবেশ তৈরি করা’ নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাচ্ছে, যাতে ইসরায়েলি সব জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্তি পেতে পারে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার অন্যতম হতে পারে; যা ঠিক করে দিতে পারে, এই সংঘাতের অবসানের কোনও পথ এখন আদৌ নাগালের মধ্যে এসেছে কি না।
এর আগে, রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইসরায়েলের কৌশল বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সোমবার শার্ম আল-শেখে পৌঁছানোর খবর জানিয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বলেন, “বাস্তব প্রস্তুতি এবং বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা থেকেই বোঝা যাবে হামাস আদৌ সিরিয়াস কি না।” তিনি জানান, আলোচনায় এখন পর্যন্ত ৪৮ জন জিম্মির মুক্তির প্রসঙ্গ প্রাধান্য পাচ্ছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত।
পরে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও জানান, আলোচনা দ্রুত এগোচ্ছে। “আমাকে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপ এই সপ্তাহেই শেষ হবে। আমি সবাইকে আরও দ্রুত অগ্রসর হতে বলেছি,” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন তিনি।
চুক্তির প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকার কথা। হামাসের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোষ্ঠীটির নির্বাসিত নেতা খলিল আল-হায়া। তিনি রোববারই মিশর পৌঁছেছেন।
তার নেতৃত্বে হামাসের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।