জনগণ সমর্থন না করলে কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক সংগঠন টিকে থাকার কোনো কারণ দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু জনগণের শক্তিতে আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সিদ্ধান্তে আমরা বিশ্বাস করি। জনগণের সিদ্ধান্তের ওপরে আমরা আস্থা রাখতে চাই। এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, যে আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যা করে, মানুষের অর্থসম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে-জনগণ তাদের সমর্থন করতে পারে বলে আমি মনে করি না।
জুলাই গণঅভুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, আমি আমার পরিবারের যে কাহিনি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এটিকে আপনারা কাহিনি বলুন, বা সংগ্রাম বলুন যেটাই বলুন না কেন, এটি শুধু আমার কাহিনি না, বা আমার পরিবারের কাহিনি না। এ রকম কাহিনি বাংলাদেশের শত না, হাজার হাজার পরিবারের।
যে পরিবারের বাবা, যে পরিবারের ভাই, যে পরিবারের স্বামী তার ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় হাসপাতালের বারান্দায় মারা গেছে, তা না হলে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় জেলের ভেতরে মারা গেছে, সহায় সম্পত্তি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে- এসব অন্যায়, এসব হত্যা, এসব নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী, যারা এসবের হুকুম দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হতে হবে।
এটি প্রতিশোধের কোনো বিষয় নয়। এটি ন্যায়ের কথা। এটি আইনের কথা। অন্যায় হলে তার বিচার হতে হয়। কার সম্পর্কে কী মনোভাব সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান কী হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, দল হিসেবে তারা যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। দেশের আইন সিদ্ধান্ত নেবে।
দল হিসেবে যদি অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে তাই হবে। সোজা কথায় অন্যায়কারীর বিচার হতে হবে। তো সেটি ব্যক্তি হোক, সেটি দলই হোক। যারা জুলুম করেছে তাদের তো বিচার হতে হবে। সেটি ব্যক্তিও হতে পারে। সেটি দলও হতে পারে।