জাতীয় বীর বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেন ও বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের ৯১তম ফাঁসি দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেছে তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি)সকাল ৯টার দিকে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম নগরের জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে মাস্টারদা সূর্যসেনের আবক্ষ মূর্তিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা
পরিষদের সভাপতি শিক্ষক অন্জন কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে, অর্থ সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বোয়ালখালী উপজেলার ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য সুনীল দাশ, মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, শিক্ষক লিটন চৌধুরী, সজল শিকদার প্রমুখ।
বক্তারা ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারের ফাঁসির মঞ্চে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের নাম ও ম্যূরাল সংযুক্ত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তারা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে একই সূত্রে গাঁথা। বিপ্লবীদের পথ ধরে জাতীর পিতা বঙ্গ্বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ উপহার দিয়ে যান। কিন্তু আমাদের দেশের সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বিপ্লবীদের কোন দিবস পালন না করায় আমাদের ছেলেমেয়েরা বিপ্লবীদের গৌরবগাঁথা দিনগুলোর কথা তেমন কিছুই জানে না। তাই বক্তারা এই দুই মহান বিপ্লবীর ফাঁসি দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, জাতীয় বীর বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেনের বাড়ি সরকারিভাবে রক্ষা করা হলেও, একই সাথে প্রাণদানকারী বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের বাড়ি ও জায়গা-জমিগুলো এখনো রক্ষা করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তারা বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমিগুলোতে আগামী প্রজন্মের জন্য বিপ্লবী ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘর করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।