যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের স্কুলের মাঠে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও শিশু শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মার্কিন শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয় গ্রেফতার ওই শিক্ষিকার নাম হেইলি ক্লিফটন-কারম্যাক। তাকে টেক্সাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারই স্কুলের ছাত্রের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং শিশু শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মিসৌরির পুলাস্কি কাউন্টির ল্যাকি হাই স্কুলের গণিতের শিক্ষিকা। তাকে মিসৌরিতে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ২৫ লাখ মার্কিন ডলারের বন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, ১৬ বছর বয়সী কিশোর ওই ছাত্রের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার যৌন সম্পর্কের বিষয়টি স্কুলের অধ্যক্ষ এবং সুপারিনটেনডেন্ট জানতেন। কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা না নিলে স্কুলের এক ছাত্র বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
১৬ বছর বয়সী কিশোরটি তার পিঠে ক্ষত চিহ্নের একটি ছবি সহপাঠীদের দেখায়। যেটি ওই শিক্ষিকা ক্লিফটন-কারম্যাকের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কারণে হয়েছিল বলে সে জানায়।
জানা যায়, শিক্ষিকার সাথে ছেলের যৌন সম্পর্কের খবর জানতেন ভুক্তভোগী ওই কিশোরের বাবাও। তাকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, স্কুলের মাঠে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় কেউ আসছে কি না, তা দেখার জন্য অন্যান্য ছাত্রদের নজর রাখার নির্দেশ দিতেন শিক্ষিকা।
গত ডিসেম্বরে শিক্ষিকা হেইলি ক্লিফটন-কারম্যাকের ফোন তল্লাশি করার একটি আবেদন পেয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, ক্লিফটন-কারম্যাক কোনও ধরনের সমস্যা ছাড়াই নিজের ফোনটি হস্তান্তর করেছিলেন। যা সচরাচর এ ধরনের অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া অন্য কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় না। তবে তিনি তার আইনজীবীর পরামর্শ অনুযায়ী ফোনের পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু পরে ইলেকট্রনিক নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে ফোনটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তদন্তকারীরা এক ছাত্রের সঙ্গে ক্লিফটন-কারম্যাকের একটি চ্যাট খুঁজে পান। যেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘‘ওই শিক্ষিকা গত ৮ ডিসেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। আমরা তার ফিরে আসার প্রত্যাশা করি না।’’