চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এনআইসিইউ ওয়ার্ড থেকে চুরি যাওয়া ছয়দিন বয়সী নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে ফেনীর পরশুরাম থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার দুজন হলেন খারু আক্তার (৪২) ও তাঁর মেয়ে নাসিমা আক্তার (২৩)। সম্পর্কে তারা মা-মেয়ে। তাঁদের বাড়ি ফেনীর পরশুরামে।
জানা গেছে, চুরি যাওয়া নবজাতক চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ সিকদার পাড়ার আবু মো. নোমানের মেয়ে। ছয়দিন বয়সী এই নবজাতকটি হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এনআইসিইউর ৩১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখান থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার কোনো এক সময়ে নবজাতকটি চুরি হয়।
নবজাতকের পিতা আবু মো. নোমান অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েশিশুটি মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বেডে ছিল। দিনের ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের নিয়মিত রাউন্ড থাকায় এসময়ের মধ্যে হাসপাতালের ওয়ার্ডে কোনো শিশুর স্বজনকে থাকতে দেওয়া হয় না। বেলা ২টার পর হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে তার শিশুকে আর পাওয়া যায়নি। পরে অনেক খোঁজাখুজির পরও না পেয়ে দায়িত্বরত নার্সদের বিষয়টি জানায়। এরপর দায়িত্বে থাকা নার্স এবং ওয়ার্ডবয়রা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ যাচাই করছেন বলে জানান।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেও দেখা যাচ্ছিল প্রকৃত কাগজ নিয়েই বিভিন্ন বাচ্চা বের হয়। কিন্তু হিসেব করে ওয়ার্ডে একটি বাচ্চা অতিরিক্ত পাওয়া যায়। সিসিটিভি ফুটেজে এই বাচ্চা আনয়নকারী শনাক্ত করা হয়। এরপর নথিতে দেওয়া মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার কথায় সন্দেহ হয়। এই সূত্র ধরে পুলিশ রাতেই ফেনীর পরশুরামে অভিযান চালিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, বাবার অভিযোগ পাওয়ার পর হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করেন তারা। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে রাতেই ফেনীতে অভিযান চালান। ভোরে নাসিমার বাড়ি থেকে ওই মেয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। একই সঙ্গে খারু আক্তার ও তাঁর মেয়ে নাসিমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।