একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রাম শহরের বাড়ি ‘গুডস হিল’ ঘেরাওয়ের কর্মসূচির আগে নগরীতে মশাল মিছিল করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর থেকে মশাল মিছিল নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে সংগঠনের মহানগর কমিটির আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকুর সভাপতিত্বে ও জেলার সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেলের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তাান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল, সংগঠনের মহানগর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সজিব, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান, সদস্য আশরাফুল হক চৌধুরী, রিপন চৌধুরী, সৈয়দ মইনুল আলম সৌরভ, এস এম ইশতিয়াক আহমেদ রুমি, মেজবাহ উদ্দিন আজাদ, জয়নুদ্দিন জয়, সায়কা দোস্ত, মোহাম্মদ মোস্তাকিম জুলফিকার, আমিনুল ইসলাম আজাদ, নজরুল ইসলাম, নিলয় সুকুল অনিক, নুরুল আলম, সগির আহমেদ।
সমাবেশ থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে গুডস হিল ঘেরাও কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান সংগঠনের নেতারা।
১৯৭১ সালে তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা যুদ্ধাপরাধী ফজলুল কাদের (ফকা) চৌধুরীর নির্দেশে তার বাড়ি ‘গুডস হিলকে’ টর্চার ক্যাম্প বানিয়েছিল পাকিস্তানি সেনারা, যাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ফকাপুত্র সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ রাজাকার-আলবদররা। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নিরস্ত্র বাঙালিদের ধরে ওই টর্চার ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হতো বলে সাকা চৌধুরীর মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্যে উঠে এসেছে।
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
বক্তব্যে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘ক্ষমতা ছাড়ার পর একা বাড়ি ফিরতে পারবেন না। সকল শহীদদের কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে।’ তিনি ‘নারায়ে তাকবীর’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন, যে স্লোগান বিএনপি দলীয়ভাবে ব্যবহার করে না।
এর প্রতিবাদে গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সাতদিনের সময় বেঁধে দেয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। অন্যথায় গুডস হিল ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠনটির নেতারা।