বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ, ১৪৩১, ১৫ রজব, ১৪৪৬

চসিকের মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা প্রসঙ্গে অল্প বিস্তর : নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

সিটি মেয়র মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী তাঁর সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ১৬২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা জ্ঞাপনের একটি বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতোমধ্যে হয়তো সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের দ্বারা সংবর্ধনাপ্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু ১৯ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে চসিক মেয়রের যে সংবর্ধনা তার একটা আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য আছে। সেটা এই কারণে যে সংবর্ধনা প্রদানকারী মেয়র নিজেও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন মুক্তিযোদ্ধার হাত থেকে সংবর্ধনা স্মারক গ্রহণের চেয়ে গৌরবের আর কিছু হতে পারে না। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সাহেবও সংবর্ধনা পেতে পারতেন এবং তাঁকেও দেয়া উচিত ছিলো। হয়তো তিনি ভেবেছেন তিনি যে প্রতিষ্ঠানের মেয়র, সেই প্রতিষ্ঠানই যখন সংবর্ধনা দিচ্ছে, তখন তিনি সংবর্ধনা নিতে পারেন বা তাঁকে সংবর্ধনা দেয়া উচিত নয়। এমনটা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে এই ঔচিত্যবোধ এবং নীতিবোধের জন্যও তাঁকে আমি আরেক দফা ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাতে চাই। তবে বিষয়টাকে নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিতে দেখলে তিনি এমন ঔচিত্যবোধ ও অপরাধবোধ দ্বারা আক্রান্ত হতেন না।
নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানিত করে মেয়র সাহেব নিজে এবং সিটি কর্পোরেশনও সম্মানিত হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে এমন মহতী আয়োজন অনুষ্ঠানকে বাড়তি যাত্রা যোগ করে মহিমান্বিত করবে।
মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন নিয়ে একটি কথা বলতে চাই। যে তালিকা করা হয়েছে এবং যাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমার কোন বক্তব্য নেই। তবে আরো ক’টি নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে তালিকাটা স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সর্বাঙ্গসুন্দর হতো। মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এত বেশি যে, সবাইকে একসঙ্গে একদিনে এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা বাস্তবেই অসম্ভব। তবে এমন কিছু নাম আমার মনে উদিত হচ্ছে, যাঁদেরকে বাদ দিয়ে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধ কল্পনা করা যায় না। যেমন এম এ মান্নান বাদ পড়েছেন। যদি আগে দেয়ার কারণে তাঁকে বাদ দেয়া হয়ে থাকে, তাহলেও আমি বলবো এম এ মান্নানকে দু’বার দিলে অসুবিধা কি? এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম এ হান্নানের পর চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ রাজনীতির প্রধান ব্যক্তি হচ্ছেন মান্নান ভাই। ইউসুফ ভাই, মৌলভী সৈয়দ ভাই, মহিউদ্দিন ভাই, আশরাফ খান, ইদরিস আলম-এই কিংবদন্তী ছাত্রনেতাদেরও নেতা তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধেও তিনি চট্টগ্রামের প্রধান ব্যক্তি। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তিনি চট্টগ্রাম সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশের পর চট্টগ্রামে গঠিত জেলা সংগ্রাম পরিষদের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির একজন সদস্য ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বিএলএফ গঠিত হওয়ার পর মনি ভাই মান্নান ভাইকে তাঁর সহকারীর মর্যাদা দিয়ে বিএলএফ-এ পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে নিয়োগ দেন। মনি ভাই পূর্বাঙ্গলীয় প্রধান ছিলেন। মান্নান ভাই ইউসুফ ভাইয়ের (এসএম ইউসুফ) চেয়েও বড় দায়িত্বে ছিলেন। ইউসুফ ভাই বিএলএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনস্থ চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডের কমান্ডার ছিলেন। স্থান বিএলএফ-এ মান্নান ভাইয়ের পরেই ছিলো। ইউসুফ ভাইয়ের পর বিএলএফ এর প্রধান ব্যক্তি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার ইব্রাহিম ভাই। তাঁর নাম কোথাও দেখলাম না। মনি ভাইয়ের আরেকজন বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক আহমদ। মনি ভাই বিএলএফ সদস্যদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্ত করে চট্টগ্রাম দখল করার জন্য জেনারেল উবানকে নিয়ে ‘অপারেশন ঈগল’ নামক এক ছদ্ম সামরিক অভিযান শুরু করেছিলেন; তখন পুরো বাহিনীকে তিন কলামে বিভক্ত করা হয়েছিলো।
উত্তর বা খাগড়াছড়ি কলামের কমান্ডার ছিলেন রণবিক্রম ত্রিপুরা, মধ্যম কলামের প্রথমে ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন গোলাম রব্বান, তিনি অপারেশনে আহত হয়ে কিছু সময়ের জন্য নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর মধ্যম কলামে মার্চ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লার পাখী, ঢাকার রাজু প্রমুখ তাদের বিশাল বাহিনী নিয়ে; দক্ষিণ কলামের কমান্ডার ছিলেন আবু ছালেহ, সামরিক কমান্ডার ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক আহমদ। অপারেশন ঈগলের এই নামগুলি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা ভেবে দেখতে অনুরোধ করি রেজাউল ভাইকে।
সবচেয়ে অবিচার হয়েছে শহর মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ে। শহরের মুক্তিযুদ্ধে প্রথমেই আসবে ইঞ্জিনিয়ার আফছারউদ্দিন আহমদের নাম, কারণ তিনিই শহরে যুদ্ধরত এফএফ ও বিএলএফ যৌথ গেরিলা বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন; তারপর আসবে মৌলভী সৈয়দ ভাইয়ের নাম। তাঁর নাম আছে তালিকায়। ছাবের ভাই (ছাবের আহমদ আসগরী) মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামে বিএলএফ-এর অন্যতম প্রধান সংগঠক ছিলেন। যেকারণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পেরেছিলেন, সেটা হল তিনি তখন বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রদের সঙ্গে তাঁর মত যোগাযোগ ইউসুফ ভাই ছাড়া আর কারো ছিলো না। তাঁর নাম তালিকায় না থাকা দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম শহরের গ্রুপ কমান্ডার ডা. মাহবুবুল আলম, শাহজাহান খান, এফএফ গ্রুপ কমান্ডার এস এম মাহবুবউল আলম, এফএফ গ্রুপ কমান্ডার ও বিএলএফ-এর সদস্য রইসুল হক বাহার, ফজলুল হক ভূঁইয়াকে সংবর্ধনা তালিকার অন্তর্ভুক্ত করলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গৌরবান্বিত হবে। শহীদ সৈয়দ রফিক, জিন্নাহ ও ওমর ফারুক চট্টগ্রাম শহরের মুক্তিযুদ্ধের এই তিন শহীদকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে হলেও মরণোত্তর সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে তাঁদের অতৃপ্ত বিদেহী আত্মার প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মাদারবাড়ির তফাজ্জল, লোকমান গনি চৌধুরী, আলকরণের আনসার কমান্ডার মোস্তাফিজুর রহমান, বাকলিয়া নিবাসী কমান্ডার ফকির জামাল, চান্দগাঁও চৌধুরী বাড়ির কুতুবউদ্দিন চৌধুরী, মোগলটুলীর কবির তোরণের গরিবউল্লাহ মাতবর- শহর রণাঙ্গণের এসব গর্বিত মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় হারিয়ে গেলেন। মোজাফফর সাহেবের বাড়ি মাদারবাড়ি বলেই জানি, তো তিনি কি তালিকা দেন বুঝতে পারি না।
অপারেশন জ্যাকপট-খ্যাত নৌকমান্ডো গ্রুপের কমান্ডার শাহ আলম বীর উত্তম; চট্টগ্রাম শহরের ডাকাবুকো ছাত্রনেতা সুলতান-উল-কবির চৌধুরী, যিনি কাদের সিদ্দিকীর ন্যায় দেশে অবস্থান করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন, সি-ইন-সি স্পেশাল জাহাঙ্গীর চৌধুরী, যিনি মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে আলবদর বাহিনীর হাতে ধৃত হয়ে ডালিম হোটেলে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাঁর ভাই দস্তগীর চৌধুরীও বদর বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে নির্যাতিত হয়েছিলেন; ফটিকছড়ির বাদশা আলম যাঁকে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে ত্রিপুরায় হরিণা ক্যাম্প নির্মাণের সময় অনেক কাজ করতে দেখেছি, তাঁকে ফটিকছড়ির আওয়ামী লীগ রাজনীতির পুরোধা পুরুষ বলা যেতে পারে; হাটহাজারী প্রতিরোধ যুদ্ধের নায়ক ও সাব্রুম অভ্যর্থনা শিবিরের প্রধান ৭০-এ এমপিএ এম এ ওহাব; দু’জন এমপি যাঁরা সি-ইন-সি স্পেশাল ট্রেনিং নিয়ে ১নং সেক্টরের জোনাল কমান্ডার নিযুক্ত হয়েছিলেন মির্জা আবু মনসুর ও ডা. এম এ মান্নান; চট্টগ্রাম কলেজের ভিপি জালালউদ্দিন আহমদ ও জিএস কাজী মনিরুজ্জামান মন্টু, এবিএম নিজামুল হক-এইসব যোদ্ধা ও নেতৃবর্গের নাম বাদ গেলে অনুষ্ঠানের অঙ্গহানি হবে, তাদের নামও বিবেচনা করার জন্য মেয়র মহোদয়ের প্রতি আবার অনুরোধ করছি। হরিণায় মুক্তিযোদ্ধাদের রিক্রুটমেন্ট থেকে শুরু করে ইনডাকশন পর্যন্ত ইয়থ ক্যাম্পের যাবতীয় কাজ ইউসুফ ভাই, স্বপন দা (শহীদ স্বপন চৌধুরী), হাশেম ভাই (অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ হাশেম), ছাবের ভাই, রব্বান ভাই, নিজাম ভাই, জালাল ভাই, মন্টু ভাই-এদেরকেই তো করতে দেখেছি। ইনডাকশনের সময় মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গাড়িতে করে বৈষ্ণবপুর সীমান্তে পৌঁছে দিতেন স্বপন দা, ছাবের ভাই ও জালাল ভাই। গাড়ি ড্রাইভ করতেন বেশিরভাগ সময় ছাবের ভাই, কখনো বা স্বপনদা কিংবা জালাল ভাই। স্বাধীন বাংলা বেতারে অবদানের জন্য বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, আমিনুর রহমান ও রাখাল চন্দ্র বণিক।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি দু’জন-ক্যাপ্টেন করিম ও সার্জেন্ট আলম। দু’জনই শহীদ হয়েছেন। ক্যাপ্টেন করিম উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়ার রণাঙ্গনেরও দুঃসাহসী গেরিলা কমান্ডার ছিলেন। প্রতিরোধ যুদ্ধের শুরুতে রেস্টহাউস থেকে তাঁর মুক্তিযুদ্ধ শুরু, পরে তিনি মদুনাঘাট যুদ্ধ এবং মহালছড়ি যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। সার্জেন্ট আলমের নাম তালিকায় আছে, কিন্তু ক্যাপ্টেন করিমের নাম নেই। তাঁর নামটিও তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন। পটিয়ার বদিউজ্জামানের নাম দেখলাম, ক্যাপ্টেন করিমের অধীনেই তিনি কাজ করেছেন। ক্যাপ্টেন করিম গ্রুপের দুর্ধর্ষ যোদ্ধা নায়েক আজিজুল হক, হাবিলদার নুরুল আলম, প্রদ্যোৎ পাল, বোয়ালখালীর ক্যাপ্টেন করিম গ্রুপের গেরিলা কমান্ডার আ হ ম নাসিরউদ্দিন এবং আনোয়ারার হাবিলদার গোলাফুর রহমানের নামও অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

ক্যাপ্টেন করিম গ্রুপের দু’জন প্রধান সংগঠক অধ্যাপক শামসুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ আহমদ শরীফ মনীরকেও তালিকায় রাখা প্রয়োজন। চন্দনাইশের বেঙ্গল রেজিমেন্টের হাবিলদার আবু ইসলাম ও পাকিস্তান এয়ারফোর্সের হাবিবুর রহমান শাহজাহান ইসলামাবাদী ও সার্জেন্ট আলম গ্রুপের দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। কোন কোন অপারেশনে হাবিলদার আবু কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। এই দু’জন যোদ্ধা এবং বোয়ালখালীর গ্রুপ কমান্ডার সোলায়মানও সংবর্ধনা পেতে পারেন। পটিয়ার কাজী আবু তৈয়ব আছেন; পটিয়া থানা বিএলএফ কমান্ডার নুরুল ইসলাম, বেলমুড়ির সুবেদার সোলায়ামান, আ জ ম সাদেক, অধ্যাপক দিলীপ কান্তি দাশ, এম এ জাফর, এ কে এম আবদুল মতিন চৌধুরী, আ ক ম শামসুজ্জামান, আবু তাহের বাঙালি (দৌলতপুর) এবং নামও সংবর্ধনা প্রাপকের নামের তালিকায় থাকা উচিত হবে বলে মনে করি। দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রথম বিএলএফ গ্রুপ কমান্ডার নুরুল আনোয়ার যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তাঁর নামটিও যদি অন্তর্ভুক্ত করা যায়, খুবই ভালো হয়।
দোহাজারীর মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ কমান্ডার আবু তাহের খান খসরুর কথাও আমরা ভুলে গেছি। তাঁকে ৭৫’র সামরিক কুদেতার আমলে পাহাড়তল সেনা হাজি ক্যাম্পে তখ্তা ডলা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। সে সময় সুলতানুল কবীর চৌধুরী, শামসুদ্দিন আহমদ ও মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে সেনাবাহিনী সেনা হাজি ক্যাম্পে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করেছিলো।
রাউজানের শহীদ নাজিমউদ্দিন খান, শওকত হাফিজ খান রুশ্নি, আবু মোহাম্মদ হাশেম (অ্যাডভোকেট), তোফায়েল আহমদ, এ কে এম আবু জাফর চৌধুরী ও কিরণলাল আচার্য; রাঙ্গুনিয়ার নুরুল আলম, ছালেহ আহমদ ও ফজলুল করিম; হাটহাজারীর ফজলুল আমিন মাস্টার, নুরুল আবছার চৌধুরী, এসএম ফজলুল হক, অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন, আবুল হাশেম, ইলিয়াস মিয়া; সীতাকু-ের ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ সালাহউদ্দিন (স্বাধীনতার পতাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন), মোয়াজউদ্দিন আহমদ, কাজী সিরাজুল আলম, আবুল কালাম আজাদ ও নায়েক শফিউল আলম; মিরসরাইয়ের অহিদুল হক, ইঞ্জিনিয়ার ইরফানুল হক, শহীদ আ ফ ম নিজামউদ্দিন চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন (সাবেক জেলা কমান্ডার);
মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদানের রেওয়াজ চালু করেছিলেন রেজাউল ভাইয়ের পূর্বসুরী আ জ ম নাছিরউদ্দিন, এই সুযোগে তাঁকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি যাঁদের নাম উল্লেখ করলাম, তন্মধ্যে কেউ কেউ হয়তো আগে পেয়েছেন। পেলেও সুবর্ণজয়ন্তীতে আবার একবার সবাইকে সম্মান জানাতে অসুবিধা কি? আবারও ধন্যবাদ মাননীয় মেয়র।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

আরাভকে চিনি না,  প্রাথমিক পরিচয়ও নাই: বেনজীর

দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। কীভাবে আরাভ ঢাকায় পুলিশ হত্যা করে দেশের বাইরে গেল, কীভাবে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে দুবাই গেল,

বিস্তারিত »

মদুনাঘাট পাওয়ার স্টেশন অপারেশন এবং সি-ইন-সি স্পেশাল ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু : নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

মধ্য আগস্টে দুনিয়া কাঁপানো অপারেশন জ্যাকপটের পর অক্টোবরে এমনি আরেকটি ঘটনায় হানাদার কবলিত চট্টগ্রাম সংবাদ শিরোনাম হয়ে উঠেছিলো। সেই ঘটনাটি হলো মদুনাঘাট পাওয়ার স্টেশন ধ্বংস,

বিস্তারিত »

বখতিয়ারুল আলম : একজন মুক্তিযোদ্ধার মুখ : নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

ষাটের দশক বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি অগ্নিগর্ভ সময়। সংগ্রামী ছাত্র সমাজই ওই দশকের নায়ক। বায়ান্নে রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতের রক্তস্রোতে সিক্ত বাংলার পালল মৃত্তিকায়

বিস্তারিত »

মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের দৃষ্টি আকর্ষণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ’ : নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

শিক্ষা বিষয়ে কিছু ভাবনাচিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো। কাকে বলবো, কোথায় বলবো বুঝতে পারছিলাম না। প্রথমে ভেবেছিলাম প্রেস কনফারেন্স করবো। সেজন্য ইঞ্জিনিয়ার হারুন ভাই, ডা. মাহফুজ

বিস্তারিত »

চট্টগ্রামের সন্তান রামপ্রসাদ সেনগুপ্ত এখন বিশ্বসেরা নিউরোসার্জন : নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

চিকিৎসা শাস্ত্রে চট্টগ্রামের অবদান ন্যূন নয়। আলোপ্যাথির আগে আয়ুর্বেদ যুগেও চট্টগ্রামে এমন দু’একজন দিব্যদৃষ্টিসম্পন্ন প্রতিভাবান চিকিৎসক আবির্ভূত হয়েছিলেন, যাদেরকে শুধু কবিরাজ, বৈদ্য বা হেকিম পরিচয়ে

বিস্তারিত »
বঙ্গবন্ধুর কোলে শামীমা হারুন লুবনা (ইনসেটে বর্তমান ছবি)

পিতার পথেই হাঁটছেন হারুনপুত্রী : নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

শামীমা হারুন লুবনা-এই সময়ের সাহসী নেত্রী, যিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগকে তারুণ্যের শক্তিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে উজ্জীবিত করে তুলেছেন। তাঁর নিজের শিক্ষাগত

বিস্তারিত »

আমানত হল থেকে পার্লামেন্টজাফরের অসামান্য কৃতিত্ব : নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

জাফর আলম-চকরিয়া থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য। জাফরের জীবনে এটাই একমাত্র কৃতিত্ব নয়। তাঁর আরো কৃতিত্ব হলো-তিনি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চকরিয়া

বিস্তারিত »

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল : রাজনীতির বরপুত্র নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল : রাজনীতির বরপুত্র নাসিরুদ্দিন চৌধুরী       পিতা ও পুত্রের মধ্যে কী সীমাহীন বৈপরীত্য। পিতা ছিলেন মাঠে-ময়দানে, রাজপথ কাঁপানো স্লোগানমুখর

বিস্তারিত »