ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আফজাল হোসেন লিখেছেন, কোক স্টুডিও বাংলায় মাস্ত কালান্দার শুনে তার সকালটা আরও সুন্দর হয়ে গেছে। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা প্রতিদিন অনেক অপ্রয়োজনীয় চিন্তায় নিজেকে জড়িয়ে রাখি, অথচ জীবনের প্রকৃত অর্থ, প্রেরণা ও সঠিক দিশা খুঁজে পেতে সময় দিই না। নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের সংলাপ টেনে তিনি লিখেছেন, ‘বেঁচে থাকাটা বড় কথা নয়, কিভাবে বেঁচে আছি সেটাই বড়।’
সৃজনশীল মানুষের অবদান নিয়ে আফজাল হোসেনের মন্তব্য-সমাজে তাদের মূল্যায়ন সবসময় হয় না, তবু তারা নিবেড় মনোযোগে নিজের কাজে লেগে থাকেন। চিত্রকর ছবি আঁকেন, লেখক লেখেন, কণ্ঠশিল্পী গান গেয়ে নিজের আনন্দ খুঁজে পান-এই নিবেদনই সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার নীরব শক্তি।
রুনা লায়লার শিল্পীসত্তা নিয়েও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, উপমহাদেশজুড়ে তার জনপ্রিয়তা-পাকিস্তান, ভারতসহ সব দেশের শ্রোতার কাছেই তিনি সমানভাবে সম্মানিত। তার মতো শিল্পী থাকলে একটি দেশ আলো ছড়ায় বলেও মন্তব্য করেন আফজাল হোসেন।
রুনা লায়লাও গানটি প্রকাশের পর জানিয়েছেন তার অনুভূতি। বলেন, ‘এই গান সবসময় আমার হৃদয়ের খুব কাছে। তরুণ শিল্পীদের সঙ্গে আবার নতুনভাবে গানটি গাইতে পেরে আনন্দিত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে গানটির ফিরে আসা আমাকে খুব খুশি করেছে।’
সমাজের বিভাজন, অসংলগ্নতা নিয়েও নিজের পোস্টে আক্ষেপ করেছেন আফজাল হোসেন। বলেন, আমরা দেশপ্রেমের কথা বলি, অথচ প্রায়ই নানা বিভাজন ও ক্ষতিকর চিন্তায় জড়াই। এমন প্রেক্ষাপটেও মাস্ত কালান্দার তাকে এনে দিয়েছে নতুন আলো, আনন্দ ও প্রাণের উষ্ণতা।






