ঢাকায় বসে নয়, জনগণের রায় নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়াই বিএনপির মূল লক্ষ্য। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কোনো মেগা প্রকল্প নেওয়া হবে না। জাতীয় বাজেটের ৫ শতাংশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা হবে। বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে গ্রামীণভিত্তিক কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেবে, যাতে কাউকে কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকা বা চট্টগ্রামে আসতে না হয়।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘দক্ষ জনশক্তি-দেশ গঠনের মূল ভিত্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি সরকার গঠনের এক বছরের মধ্যে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জ্ঞানকে একত্রে কাজে লাগিয়ে জনশক্তিকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করতে না পারলে জাতীয় উন্নয়ন টেকসই হবে না।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, আইটি সেক্টর, কলসেন্টার, নার্সিং, এবং প্রচলিত কুটির শিল্প আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে যেন তাদের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিং পায়।
তিনি বলেন, সেবাগ্রহীতাদের সরকারি দপ্তরে ধারণা দেওয়া মানেই হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হওয়া। তাই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এতে অর্থ ও সময়—দুটোরই অপচয় কমে আসবে।
এ সময় তিনি ঐকমত্য ও জুলাই সনদ সইয়ের অধ্যায় শেষ হয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সনদ সই হয়েছে, ‘চ্যাপ্টার ক্লোজড, লেটস গো টু ইলেকশন’। ইলেকশনে গিয়ে জনগণের কাছে ঐকমত্যের বিষয়গুলো নিয়ে যাই। আপনাদের যদি নিজস্ব কোনো দাবি দাওয়া থাকে বা কোনো প্রোগ্রাম থাকে আগামী দিনের জন্য, দয়া করে জনগণের কাছে যান।
আইডিইবির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম।
এসবিডব্লিউ/আরআইএস







