চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশে ঈগল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে বউ–শাশুড়িসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চন্দনাইশ উপজেলার হাসানদণ্ডির হযরত সুলতান শাহ্ জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাতজন।
নিহতরা হলেন— ফাতেমা বেগম (৭৫), তাঁর পুত্রবধূ শামিমা আক্তার (৪৫) ও অটোরিকশার যাত্রী মো. শরিফ (২৬)।
আহতরা হলেন— অটোরিকশা চালক মাহবুব, জুকুম বাহার, জাকের হোসেন, মারুফ, পলাশ, রহিম ও বেবি আকতার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দোহাজারী হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত ফাতেমা বেগম এলডিপির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল অলি আহমদের আপন ভাগ্নি। তাঁর পুত্রবধূ শামিমা আক্তার ও নাতবউ ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা দোহাজারী থেকে অটোরিকশায় চন্দনাইশ পৌরসভাস্থ নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। অন্য নিহত মো. শরিফ ছিলেন ওষুধ কোম্পানি অপসোনিনের বিক্রয় প্রতিনিধি এবং তিনি ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দিন জানান, ঈগল পরিবহনের (চট্টগ্রাম-জ-১১-০১২০) একটি বাসের সঙ্গে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা দু’টি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।