মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ১০ আষাঢ়, ১৪৩২, ২৭ জিলহজ, ১৪৪৬

সরকারের নানা উদ্যোগ: ভাঙেনি সিন্ডিকেট, বাজারে অস্বস্তি

মুক্তি৭১ ডেস্ক

তারপরও বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে।এতে নতুন করে দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে আটা, ময়দা, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, মুরগি ও গরুর মাংস। মোটা চাল ও চিনির দাম সামান্য হলেও বেড়েছে। সবজির দাম এতদিন চড়া ছিল। কয়েক দিন ধরে কমছে। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে ভোক্তারা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাজারে এখনো সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই সিন্ডিকেটের কারণেই বাজার ব্যবস্থা রীতিমতো অসহায়।

বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যেকোনো উদ্যোগের কার্যকারিতা নির্ভর করে তার ফলাফলের ওপর। অন্তর্বর্তী সরকার মূল্য নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও ফলাফলের নিরিখে এখনো বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ মূল্যস্ফীতির চাপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাজার শান্ত করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহে তথ্যগত ঘাটতি রয়েছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ বাড়ানো জরুরি। শুল্ক কমানো হলো; কিন্তু আমদানি বাড়ল না, তাতে সুফল পাওয়া যাবে না। চাল, পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের বাজারে শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাব না পড়ার বড় কারণ আমদানি বৃদ্ধি না পাওয়া। নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখা ও এই ব্যাপারে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের যত দূর সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনাটা জরুরি বলে মনে করেন তারা। এ ছাড়া টিসিবি ও খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে আরও বিস্তৃত পরিসরে নিত্যপণ্য বিক্রি করা দরকার, যাতে আরও বেশি মানুষ সুফল পান।

জানা গেছে, সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি বাড়িয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল—এই পাঁচ মাস ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার আগের কর্মসূচি চালু রাখা হয়েছে। সুলভ মূল্যে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা পেঁপে ও বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজিসহ প্যাকেজ আকারে ১০টি কৃষিপণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। ১৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের নাম ‘কৃষি ওএমএস কর্মসূচি’।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। আগে পেঁয়াজ বিক্রি করা হলেও আপাতত বন্ধ। এর বাইরে টিসিবি ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। তবে টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে অনেককেই ফেরত যেতে হয়। এ কার্যক্রম শুধু শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঝারি চাল, নন-ব্র্যান্ড খোলা সয়াবিন তেল, পাম তেল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও এলাচের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্যমূল্য স্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে।

এ বছরের নভেম্বরের শুরুতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা ২৬ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ওই প্রতিবেদনে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এজন্য অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণগুলোকে দায়ী করেছে। এর মধ্যে একটি কারণ হলো আমদানি কমে যাওয়া। অভ্যন্তরীণ কারণগুলোর মধ্যে আছে বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি, এ সময়ে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া বাজার সিন্ডিকেট আরেকটি কারণ। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দায় ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলে ৮০০ থেকে ৮১০ টাকা ও খোলা পামঅয়েলে ১৪৪ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের হালি ৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর সুত্রাপুর বাজারে মেসার্স আদনান অ্যান্ড আরাফাত ট্রেডার্সের মালিক মো. ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে, মানুষ খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে লড়াই করছেন। বেশির ভাগ ভোক্তা চাহিদার তুলনায় পণ্য কম নিচ্ছেন। আগে যারা পাঁচ কেজি আটা কিনতেন, তারা এখন দুই থেকে তিনি কেজি আটা কিনছেন। অন্যান্য পণ্যও কেনা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন।

রায়সাহেব বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি। মাসে যে টাকা আয় করি তার অর্ধেক চলে যায় বাসা ভাড়ায় আর বাকিটা যায় বাজার খরচে। মাস শেষে আবার ঋণও করতে হচ্ছে। এভাবে চলা যায় না। সরকার বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিলেও কোনো কাজে আসছে না কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে। তারা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারা হঠাৎ বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। পরে দাম বাড়িয়ে বাজারে নতুন করে পণ্য ছাড়ে। যেটা বিগত সরকারের সময়ও আমরা দেখেছি। বর্তমান সরকারের কাছে এসব প্রত্যাশা করিনি। এক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারকে যত রকমের বংবস্থা আছে নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে অন্তত ছয় ধরনের নিত্যপণ্যের এলসি কম খোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল, পেঁয়াজ, ছোলা, পরিশোধিত চিনি ও খেজুর। ঋণপত্র খোলা বেশি কমেছে পেঁয়াজের। গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পেঁয়াজ আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে দুই লাখ টনের কাছাকাছি। অবশ্য সয়াবিনের বীজ, মসুর ডাল ও অপরিশোধিত চিনি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা বেড়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সয়াবিন তেল, পাম অয়েল ও পেঁয়াজের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। চলতি অর্থবছরের গত তিন মাসে ৩ লাখ ৩২ হাজার টন পাম তেল আমদানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। এ সময়ে অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১ শতাংশ কম। কমেছে পেঁয়াজের আমদানিও। গত তিন মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল সাড়ে ৩ লাখ টন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কী কারণে পণ্যগুলোর আমদানি কম হয়েছে, সরকারের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা। তা না হলে পণ্যগুলোর দামের লাগাম টেনে ধরা কঠিন হবে। ইতোমধ্যে এসব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেল, পাম তেল, চিনি ও গমসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ৯৪ ডলার বেড়েছে। একই সময়ে সয়াবিন তেলের দাম টনপ্রতি ৫১ ডলার, গমের দাম ১৩ ডলার এবং চিনির দাম টনপ্রতি চার ডলার বেড়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানিয়েছে, পণ্য উৎপাদন খরচের ক্রমাগত উচ্চ মূল্য, অদক্ষ বাজার ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য ও উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকার স্বল্প সুযোগ ইত্যাদি কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

ডিসিসিআই সুপারিশ করেছে, মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতা কমিয়ে ও অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষ করে যেসব পণ্যের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য নেই। এ ছাড়া স্থানীয় ও আমদানি করা খাদ্যপণ্যের নগদ মেমোর জন্য ট্র্যাকিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমাতে সার, তেল ও বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোতে ব্যাবসায়ীরা লাভবান হলেও ভোক্তা পর্যায়ে গিয়ে সে সুবিধাটা পৌঁছাচ্ছে না। একটা শ্রেণি চায় না পণ্যের দাম কমুক। এজন্য পণ্যের দাম কমছে না। তারা অতিমুনাফা করার জন্য এটা চায় না। সরকার অনেক পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে, আমদানির অনুমতি দিয়েছে, টাক্সফোর্স গঠন করেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে, টিসিবির মাধ্যমে সুলভমূল্যে পণ্য দিচ্ছে। সরকার আর কী উদ্যোগ নেবে?

তিনি বলেন, মূলত অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই পণ্যের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট আছে, যেটা বিগত সরকারও ভাঙতে পারেনি। তখন আমরা মনে করেছি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আতত আছে দেখে তারা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে নাই। কিন্তু বর্তমান সরকারের সঙ্গে তো ব্যবসায়ীদের কোনো আঁতাত নেই। তারপরও তারা কারসাজিকারীদের বা সিন্ডিকেট যারা করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। যদি দুই-একজন ব্যবসায়ীকে শাস্তির আওতায় আনতে পারতো তাহলে বাজার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতো বলে আমি মনে করি।

ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা সবাই জানি সিন্ডিকেট কারা করে, সেক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকার কঠোর হচ্ছে না বিধায় ব্যবসায়ীরা সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে, তারা ভোক্তাদের পকেট খালি করার সুযোগ পাচ্ছে। সরকারের অনেক সংস্থা রয়েছে অথচ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া আর কেউ কোনো কাজ করছে না।

সিন্ডিকেটের পাশাপাশি কর্পোরেট ব্যবসায়ীরাও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মজুদ করে বা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা রীতিমতো ভোক্তাদের লুট করে নিচ্ছে। এটা কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের খারাপ একটা অভ্যাস। একই সঙ্গে পরিবহন ভাড়া নিয়েও কারসাজি করা হচ্ছে। ১৫ হাজার টাকার ট্রাক ভাড়া এখন ২০ হাজার টাকা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের একটু স্বস্তি দিতে পারে টিসিবির পণ্য, সেখানেও দীর্ঘ লাইন, চাহিদার তুলনায় পণ্য কম। এ জায়গায় টিসিবির কার্ডের সংখ্যা ও পণ্য আরও বাড়ানো অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে বাণিজ্যসচিব সেলিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

ষাটের দশকের ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সিরাজুল আলম

কাজী সিরাজুল আলম ষাটের দশকের শেষদিকে চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা ছিলেন। ৬৯-৭০-এ তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। তাঁর বাড়ি সীতাকুণ্ডে; তিনি সীতাকুণ্ডে ৬৯-এর

বিস্তারিত »

বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মাতাল ঝড়ে মনিরুজ্জামান মন্টু এক সাহসী নাবিক

গত শতাব্দির উনসত্তর, সত্তর, একাত্তরে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মাতাল ঝড়ে বাংলাদেশ লÐভÐ হয়ে যাচ্ছিলো, সেই ঝড়ো হাওয়ার দিনে কাজী মনিরুজ্জামান মন্টু ছিলেন, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ছাত্র

বিস্তারিত »

বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমদ : পটিয়ার আওয়ামী রাজনীতির বটবৃক্ষ

শামসুদ্দিন আহমদ ষাটের দশকের বিশিষ্ট ছাত্রনেতা। তিনি পটিয়ায় রাজনীতি করলেও চট্টগ্রামের সামগ্রিক ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর অবদান অস্বীকার করা যায় না। পটিয়া ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের

বিস্তারিত »

রায় সাহেব কামিনী কুমার ঘোষ হত্যাকাণ্ড

আইনবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজহিতৈষী, শহীদ বুদ্ধিজীবী রায় সাহেব কামিনী কুমার ঘোষকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১-এর ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে। কামিনী কুমার ঘোষ ১ জানুয়ারি ১৮৮৮

বিস্তারিত »

শহীদ অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকাণ্ড

সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হওয়ার পর এটা নিশ্চত হয়ে যায় যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি এবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, যে কোন মূল্যেই তারা

বিস্তারিত »

৭১-এ চেরাগী পাহাড়ে ইউসিসে বোমা মেরেছিলেন দু’জন বামপন্থী মুক্তিযোদ্ধা

ওসমান গণি চৌধুরী ষাট ও সত্তরের দশকের চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে রাউজান থানার গহিরা গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা আলহাজ্ব জহুরুল হক চৌধুরী ও

বিস্তারিত »

ওসিকে ‘মারধর’: চট্টগ্রামের ৩ আনসার, এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সরানো হল

চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার পর তিন আনসার ও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত সোমবার নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ৩১ আনসার

বিস্তারিত »

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদে অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল হক সম্ভাবনাময় প্রার্থী

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদে অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল হক সম্ভাবনাময় প্রার্থী। তিনি অন্যান্যদের চেয়ে অধিকতর যোগ্য বলে বিভিন্নসূত্রে জানা যায়। তিনি বর্তমানে

বিস্তারিত »

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা আসছে

শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত প্রক্রিয়ার নানা ঘটনাবলি নিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র

বিস্তারিত »