পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য জেলার প্রধান উৎসব বিঝু, বৈসুক ও সাংগ্রাই সকল সম্প্রদায় মিলে পালন করছে। সবাই মিলে উৎসব পালন করলে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি তৈরি হয়। সকল জাতিঘোষ্ঠির মাঝে মেলবন্ধন তৈরী হয়।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সম্মিলিত বিঝু, বৈসুক ও সাংগ্রাই- ২০২৪ উৎসবের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিঝু, বৈসুক ও সাংগ্রাই বয়ে আনুক শান্তি, সম্প্রীতি সৌহার্দ্য ও সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে দীঘিনালা উপজেলায় ছয় দিনব্যাপি বিঝু মেলা শুরু হয়েছে।
বিঝু, বৈসুক ও সাংগ্রাই- ২০২৪ উদযাপন কমিটির আহবায়ক বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা সভাপতিত্বে সমীর চাকমা সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঙমা সাংস্কৃতি ঘোষ্ঠির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনন্দ মোহন চাকমা।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দীঘিনালা জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল রুমন পারভেজ পিএসসি, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মো. কাশেম, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ, দীঘিনালা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মুহাম্মদ আবুল হাসনাত খান, প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী মল্লিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য নীলউৎপল খীসা, এ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, মিসেস শতরূপা চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিজ সীমা দেওয়ান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা ও নলেজ চাকমা প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি পযার্য়ক্রমে পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হবে। পার্বত্য শন্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে শান্তি বিরাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মাঝে অসাম্প্রদায়িক বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য প্রধান উৎসব বিঝু, বৈসুক ও সাংগ্রাই সকল সম্প্রদায় মিলে পালন করছে।
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সবাই মিলে উৎসব পালন করলে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি তৈরি হয়। সকল জাতিঘোষ্ঠির মাঝে মেলবন্ধন তৈরী হয়।