দেশের অন্যান্য স্থানের মত চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা আম গাছেও শোভা পাচ্ছে মুকুল। মুকুল নয়, এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। চারদিকে ছড়িয়ে পড়া মুকুলের ঘ্রাণ প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে। পাশাপাশি জানান দিচ্ছে, মধুমাসের আগমনী বার্তারও।
অন্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতের প্রভাব বেশি ছিলো, এখন বসন্তকাল। শীত বিদায় নিচ্ছে। নিজ উদ্যোগে গাছ লাগিয়েছেন করডেঙ্গার মো. সৈয়দ শামসুল হক। তিনি জানান, আমগাছে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। ভারীবর্ষণ কিংবা জড়ো বাতাস না হলে আমের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। এখন আমগাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমচাষি আব্দুস ছাত্তার বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমগাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করছি। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও বাগানে এসে ভালো ফলন পাওয়ার দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বছরজুড়ে নিয়মিত পরিচর্যা, গাছের গোড়ায় বাঁধ দিয়ে পানি সেচের ফলে গাছ নিয়মিত খাদ্য পাচ্ছে। এতে পরিশ্রমের ফলও মিলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লা জানান, উপজেলায় গত বছরের চেয়ে এবার ৯০-৯৫ শতাংশ গাছে মুকুল চলে এসেছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মৌসুমে ভালো আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় প্রতিবছর আমগাছের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।