বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭ কার্তিক, ১৪৩২, ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭

স্বতন্ত্র ৬০ জাতীয় পার্টি ১১ জাসদ ১ স্থগিত ২

২৯৮ আসনের ২২৪টিতেই নৌকা জয়ী

মুক্তি৭১ ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগণনার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফলে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রকাশ হওয়া ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২৪টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ, ১১টিতে জাতীয় পার্টি ও ৬০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, ২টি আসন স্থগিত ও ১টিতে অন্য দল জয় পেয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ কথা জানিয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া -কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপি প্রার্থী শেখ আবুল কালাম আম প্রতীকে ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্যা গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

গোপালগঞ্জ-২ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী শাহীন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৫১৪ ভোট।

ঢাকা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৫টি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০টি ভোট।

ঢাকা-২ আসনে হাজার হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম। তিনি ভোট পেয়েছেন ১,৫৪,৪৪৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী স্বতন্ত্র থেকে হাবিবুর রহমান ট্রাক মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১০,৬৩৫।

ঢাকা-৩ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু। ১২৬ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনির সরকার লাঙ্গল প্রতীকে ২ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন।

ঢাকা-১৩ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ আসনের ১৩৫টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী ফুলের মালার প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩৬ ভোট।

ঢাকা-১৬ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ‌। তিনি ৬৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন রবিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান প্রায় ৫৯ হাজার।

সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন বিজয়ী হয়েছেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিজয়ী আতাউল হক দোলন। আসনের ১৪৩টি কেন্দ্রে তার প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৪০ হাজার ৪৬। আর বিএনএম দলীয় নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৬ ভোট।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন (ঈগল) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৬ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল) ৪০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল মান্নান (চেয়ার) ৫০৩ ভোট, একতারা প্রতীকের নুরুল করিম আফচার ১৯৯ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে কেন্দ্র ১০৬টি, মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৪ জন।

চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ মনোনীত খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ১ লক্ষ ৩৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট পান।

এছাড়া, সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভাণ্ডারী ৩ হাজার ১৩৮, চেয়ার প্রতীকের মীর মো. ফেরদৌস আলম ৫২৫, মোমবাতি প্রতীকের মো. হামিদ উল্লাহ ১ হাজার ৫২৬, লাঙ্গল প্রতীকের মো. শফিউল আজম ২৫৫, ঈগল প্রতীকের মো. শাহজাহান ২ হাজার ২৫৭, ফুলকপি প্রতীকের রিয়াজউদ্দিন চৌধুরী ৩১০, ফুলের মালা প্রতীকের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ২৩০ ভোট পেয়েছেন। এখানে প্রার্থী ছিলেন ৯ জন, কেন্দ্র ১৪২ ও মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে হ্যাট্রিক জয় পেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট। এছাড়া অন্য ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মশাল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আকতার ৫৬৬ ভোট, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির এমএ ছালাম ১৩৫, মোমবাতি প্রতীকের মুহাম্মদ উল্যাহ খান ২২২ ভোট, নুরুল আনোয়ার হিরন (একতারা) ৭০ ভোট, চেয়ার প্রতীকের আবদুর রহীম ১১৭ ভোট, আম প্রতীকের অধ্যক্ষ মোকতাদের আজাদ খান ১৫০ ভোট পেয়েছেন। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩৫০৫টি। এখানে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯১৪ জন। ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনে নৌকার প্রার্থী এসএম আল মামুন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন জাতীয় পার্টির দিদারুল কবির চৌধুরী পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮০ ভোট। সাড়ে ৪ হাজার ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন স্বতন্ত্র মো. ইমরান।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মোজাম্মেল হোসেন ১ হাজার ৭২৩, তৃণমূল বিএনপির খোকন চৌধুরী ৬৭১, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের প্রার্থী মোহাম্মদ আকতার হোসেন ২৩৪, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৩৪৫ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট ৭ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। মোট ভোটার চার লাখ ২৭ হাজার ১৭২ জন।

চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারীতে লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টি প্রার্থীর ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪ ভোট। এছাড়া, চাকুসর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দিন (সোনালী আঁশ) ১ হাজার ৮৩, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির হায়দার করিম ৩৭৬, ইসলামিক ফ্রন্টের (চেয়ার সৈয়দ হাফেজ আহমদ ৬১৮ পেয়েছেন। এখানে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৫ জন, কেন্দ্র ১৪৬ টি। ভোটের হার ১৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে টানা পঞ্চমবার নৌকা প্রতীকে জয়ী হলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৯ ভোট। অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মোহাম্মদ সফিক-উল আলম চৌধুরী ২ হাজার ৬৫৪ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ার প্রতীকের স ম জাফর উল্লাহ ১ হাজার ৯৩৭ ভোট ও তৃণমূল বিএনপির (সোনালি আঁশ) মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী ১ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে ভোট পড়েছে ৭২ দশমিক ৭২ শতাংশ। ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯২০ জন।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী, দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এডভোকেট ইকবাল হাছান পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা (লাঙ্গল) ২ হাজার ৩০৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম (সোনালী আঁশ) ১ হাজার ৩৩১ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমদ রেজা (চেয়ার) ১ হাজার ৩৯০ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মোরশেদ আলম (একতারা) ১ হাজার ১৩০ ভোট। এ আসনে ১০৩ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬। ভোটের হার ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)-এর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের বিজয় কুমার চৌধুরী পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ ভোট। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সোলাইমান আলম শেঠ পেয়েছেন ৮ হাজার ২৩৫ ভোট। এ আসনে ভোট কেন্দ্র ১৮৪, প্রার্থী ১০ জন, মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৩ জন।

চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ভোট ১ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টি প্রার্থী সানজিদ রশীদ চৌধুরী। এছাড়া, মোমবাতি প্রতীকের আবু আজম ১ হাজার ৫৩২, কুঁড়ে ঘর প্রতীকের ন্যাপের মিটল দাশগুপ্ত ৯২৮, ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ১ হাজার ৯১৪, কল্যাণ পার্টির নুরুল হোসাইন ৫৩৭ ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন। মোট ভোটার ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৭৬ জন, ভোটের হার ৩৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী- হালিশহর) আসনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮ ভোট। এ আসনে প্রার্থী ছিলেন ১০ জন, কেন্দ্র ১৪৮ ও মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯০ জন।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বন্দর-পতেঙ্গা আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার এমএ লতিফ ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে জিতেছেন। তাঁর নিতটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট। এখানে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন, ভোটার ৫ লাখ ১ হাজার ৮৪৮ জন।

চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে নৌকার প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ১ লক্ষ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট পেয়েছেন। এখানে প্রার্থী ছিলেন ৯ জন, মোট ভোটার ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ জন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের মাস্টার আবুল হোসেন (মোমবাতি) পেয়েছেন ৫ হাজার ১৫১ ভোট। এছাড়া, ইসলামিক ফ্রন্টের স ম হামেদ হোসাইন (চেয়ার) ১ হাজার ৬৬৮ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রব চৌধুরী টিপু (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০৬, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক (বট গাছ) ৬১৫, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহমদ চৌধুরী সাদাদ (সোনালী আঁশ) ৮৩৭ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মো. আরিফ মঈনুউদ্দিন (একতারা) ৬১৩ ভোট।

এ আসনে মোট ভোটার এক লাখ ২৬ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৬৫ হাজার ৫৫২ জন ভোটার। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ভোট ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। এখানে মোট প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। ভোটার ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ৭১ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরীর পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট। এখানে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন, ভোটার ২ লাখ ৮৮ হাজার ১২২ জন।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের মোহাম্মদ ছালেম ৩৮০, মিনার প্রতীকের প্রার্থী ২৯৪ , মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী হোসাইন ৩৬২ ভোট পেয়েছেন। এখানে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন, মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪০৩ জন, কেন্দ্র ১৫৭ টি।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ৫৭ হাজার ৪৯৯ হাজার পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ কবির লিটন (ট্রাক) পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা আজ বিকেল ৪ টার দিকে বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। জেলা রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, নৌকার মোস্তাফিজের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় তাঁর ভোট গণনা করা হয়নি। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ মহিউল আলম চৌধুরী (মোমবাতি) ১ হাজার ১২৫, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল মালেক পেয়েছেন ৫০৩ ভোট। এ আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১২ জন। ভোটার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৯৫ জন।

বরগুনা-১ আসনে আসনে জয় পেয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম সরোয়ার ফোরকান (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৭৪ এবং টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (নৌকা) পেয়েছেন ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট।

বরগুনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সুলতানা নাদিরা জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোঙ্গর প্রতীকের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন- বিএনএমের আবদুর রহমান খোকন পেয়েছেন ১ হাজার ৯৫১ ভোট।

জয়পুরহাট-১ আসনে সামছুল আলম দুদু ও জয়পুরহাট-২ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৫৭ ভোট।

কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তার মোট ভোট ৮৮ হাজার ২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী জাকের পার্টির মো. আব্দুল হাই গোলাপ ফুল মার্কা পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।

কুড়িগ্রাম-২ (কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হামিদুল হক খন্দকার বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা ট্রাক প্রতীকে এক লাখ ২ হাজার ১২০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির পনির উদ্দিন আহমেদ লাঙ্গল মার্কায় পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৪৫ ভোট।

কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে। তিনি মোট ৫৩ হাজার ৩৬৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী সরকার ট্রাক মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫১৫ ভোট।

কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিপ্লব হাসান পলাশ। তার প্রাপ্ত ভোট ৮৬ হাজার ৬৫৮। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী তার ঈগল মার্কায় পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৪।

বরিশাল-২ আসনে বেসরকারীভাবে জয়ী হয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আনোয়ারুল আজীম, ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্দুল হাই।

বরিশাল-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু। তিনি ৫২ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৮৯ ভোট।

নাটোর-৩ আসনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিজয়ী হয়েছেন। পলক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭ ভোট।

নোয়াখালী-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের খাজা তানভীর আহমেদ। ফলাফলে দেখা গেছে, ওবায়দুল কাদের মোট ভোট পেয়েছেন ১,৮১,১৪৭টি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ পেয়েছেন (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে ৯,৭১৯ ভোট।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জয়ী হয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ড. মোহাম্মদ সাদিক বিজয়ী হয়েছেন। সর্বমোট ৯০ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭২১ ভোট। নওগাঁ-৩ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদারকে হারিয়েছেন তিনি।

টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা) বিপুল ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা এবং আট বাবের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। ফলাফলে দেখা গেছে খান আহমেদ শুভ (নৌকা) পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (ট্রাক) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৪২ ভোট।

লালমনিরহাট-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহার হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৯,৯০৩ ভোট, লালমনিরহাট-২ আসনে নূরজাহান আহমেদ জয়ী হয়েছেন ৯৭,২৪০ ও লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমান ৭৬,৪০১ ভোট পেয়ে।

পটুয়াখালী-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট।

রাজশাহী-২ আসনে নৌকার বাদশাকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান। কাঁচি মার্কা নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৫,১৪১টি। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩১,৪২৩ ভোট।

কুমিল্লা-২ আসনে বিজয়ী নৌকার অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি ৪৬ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩১ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র এ কথা জানিয়েছন।

কুমিল্লা-৯ আসনে পঞ্চমবার জয় পেলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবু বকর ছিদ্দিক চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮২৬০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির মো. গোলাম মোস্তফা কামাল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১৫৯ ভোট।

রংপুর-১ (গংগাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান (রাঙ্গা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।

খুলনা-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রশিদুজ্জামান। তিনি নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৩ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ২৬১ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে বেসরকারীভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন। তিনি এই আসনে নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের রুবেল হোসেন মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৫ ভোট।

ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নরসিংদী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ঈগল প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান। এর মধ্যে বিজয়ী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৯২ ভোট। আর আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বি খান পেয়েছেন ৪৩ হাজার ভোট।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মাহবুব আলী পেয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার ভোট।

জামালপুর-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন মির্জা আজম। তিনি নৌকা প্রতিকে ভোট পেয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাপা মনোনিত শামছুল আলম লিফটন লাঙ্গল প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৬ ভোট।

পাবনা-২ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোঙ্গর প্রতীকের ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।

পাবনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল মার্কার প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬৩ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন। তিনি কলার ছড়ি প্রতীকে ৮৪ হাজার ১৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল অব. সালাহউদ্দিন মিয়াজী বিজয়ী লাভ করেছে। এ আসনে নৌকা পেয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ১৫ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কা পেয়েছে ৬৪ হাজার ৯০৯ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। ১৯২ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে মোকতাদির চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে তিনি ২ লাখ ১৪ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। এর বিপরীতে আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট। আর ফুলের মালা প্রতীকে তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।

মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির মো. মোতাহার হোসেন। নির্বাচনে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। তার নিকটতম প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন সিদ্দীকী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৬ ভোট।

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর থেকে দুই লাখ ৬ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

সিলেট-১ (সদর) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৯২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল হক পেয়েছেন ২ হাজার ১৮১ ভোট।

সিলেট-৬ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট।

দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসনে ৩৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে চতুর্থবারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মাহমুদ আলী পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছে ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট।

বান্দরবানে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি ১ লাখ ৭২ হাজার ২৪০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ টি এম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৩ ভোট।

কুষ্টিয়া-২ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের কাছে হেরে গেলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী হাসানুল হক ইনু। ৫০ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে কামারুল পেয়েছেন ৪১ হাজার ২৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইনু পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৩১ ভোট।

ভোলা-১ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৫১৯ ভোট।

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ১৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিলটন প্রামানিক (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট।

রংপুর-৩ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী। জিএম কাদের লাঙ্গল প্রতীকে ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।

রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসনে নৌকা প্রতীকে ৯৭ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী কেরামত আলী বিজয়ী হয়েছেন। আর রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি) আসনে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিম।

ফরিদপুর-৩ আসনের মানুষের মন জয় করে রীতিমতো দাপট দেখিয়ে নৌকার শামীম হককে হারিয়ে দিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। প্রাপ্ত ফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে ৫৯ হাজার ৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি।

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর- কলমাকান্দা) আসনের ১২৪ টি কেন্দ্রের সবকটিতেই আওয়ামী লীগের( নৌকা) প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ রুহী ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাত আরা ঝুমা পেয়েছেন ২৫ হাজার ২১৯ ভোট।

নেত্রকোনা-২ (নেত্রকোনা বারহাট্টা) আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১৭২ টি কেন্দ্রের সবকটিতেই ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় পেয়েছেন ৮৬,২৮৭ ভোট।

নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া আটপাটা) আসনের ১৪৯টি কেন্দ্রের সবকটি কেন্দ্রেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু ৭৬ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল এমপি পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট।

নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরী মদন) আসনে১৪৭টি আসনের মধ্যে সবকটি টি আসনে নৌকার প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান এমপি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জাপার লিয়াকত আলী খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৯ ভোট।

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ হোসেন ৮১ টি কেন্দ্রের সবকটিতেই ৭৯ হাজার ৬৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজাহারুল ইসলাম সোহেল ফকির পেয়েছেন ২৭ হাজার ২১৪ ভোট।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ২ লাখ ৫১ হাজার ৪১৬ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছেন মাত্র ১২ হাজার ১৫ ভোট।

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেলেন তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। এ আসেন মোট ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান চাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকে মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৭১ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এই আসনের দুই বারের সাংসদ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৪ ভোট।

মেহেরপুর-১ (সদর, মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

মৌলভীবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।

মৌলভীবাজার-২ আসনে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম শফি আহমদ সলমান। তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট।

মৌলভীবাজার-৩ আসনে মো. জিল্লুর রহমান ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আলতাফুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট।

মৌলভীবাজার-৪ আসনে মো. আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ প্রার্থী আব্দুল মুহিত হাসানী পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৩৯০ ভোট।

বাগেরহাট-৩ আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি এ আসনে ভোট পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৭৮ ভোট।

যশোর-১ আসনে ১,০৫,৪৬৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯৪৭৭ ভোট। অপরদিকে লাঙ্গল প্রতীকের আক্তারুজ্জামান পেয়েছেন ২১৫১ ভোট।

যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট।

যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট।

যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ ১ লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৫১১ ভোট।

যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল ১ লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট।

যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ইয়াকুব আলী ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট।

যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. আজিজুল ইসলাম ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে দাবি না মানলে বুধবার পদযাত্রা ঘোষণা

  অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সরকারের ঘোষিত পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নসহ মোট পাঁচটি দাবি জানিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী

বিস্তারিত »

ভোটে এক লাখ সেনা মোতায়েন হবে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সদস্য মোতায়েন থাাকবে। সবচেয়ে বেশি থাকবে আনসার বাহিনী। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর

বিস্তারিত »

অধ্যক্ষ শায়েস্তা খান আর নেই

শিক্ষাবিদ, ক্রীড়া সংগঠক প্রফেসর শায়েস্তা খান মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) । নগরের সার্জিস্কোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোর পাঁচটায় তিনি

বিস্তারিত »

পুড়ল কয়েক হাজার কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি পণ্য, যাত্রী-স্বজনদের দুর্ভোগ

প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজের আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটসহ অন্যান্য বাহিনীর অক্লান্ত চেষ্টায় রাত ৯টা

বিস্তারিত »

শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে অচল চট্টগ্রাম বন্দর

প্রাইমমুভার ও সিঅ্যান্ডএফ শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর থেকে সব ধরনের পণ্য ও কনটেইনার আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল

বিস্তারিত »

চট্টগ্রামে পৌঁছেছে ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ প্রবাসীর লাশ

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট প্রবাসীর মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। গত শনিবার (১৮ অক্টোবর)

বিস্তারিত »

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আজ (১৯ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত

বিস্তারিত »

ইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন

নগরের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার আল হামিদ টেক্সটাইল নামে একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।  আজ নয়তলা ভবনের ওই কারখানায় প্রায় পাঁচ শতাধিক

বিস্তারিত »

ভারতে ‘ফিনাইল’ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৫ ট্রান্সজেন্ডার

ভারতের মধ্যপ্রদেশে অন্তত ২৫ জন ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরকামী) একসঙ্গে ‘ফিনাইল’ পান করেছেন বলে জানা গেছে। গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ইন্দোর শহরে এ ঘটনা ঘটে। পরে

বিস্তারিত »