চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার অন্তর্গত ১৮ নম্বর ধর্মপুর ইউনিয়নের ফরাঙ্গীরখীল গৌতম মনি বিহারের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, প্রভাতী পালি বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রয়াত ডাক্তার বেণীমাধব বড়ুয়া ও উপাসিকা মায়া রানী বড়ুয়ার স্মৃতি স্মরণার্থে ডা. বেনী-মায়া ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
এ উপলক্ষে মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় অষ্ঠপরিষ্কারসহ সংঘদানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতি ছিলেন রাউজান ডোমখালী পরিনির্বাণ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সুমেধানন্দ মহাস্থবির।
সাংবাদিক অসীম বিকাশ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরাঙ্গীরখীল গৌতম মনি বিহারের অধ্যক্ষ জ্যোতিনন্দ ভিক্ষু, ভদন্ত অনুত্তর ভিক্ষু প্রমুখ।
সমাজসেবক রতন বড়ুয়ার পঞ্চশীল প্রার্থনার মাধ্যমে ধর্ম দেশনা প্রদান করেন ভদন্ত আদি বংশ থের ও ভদন্ত শান্তজ্যোতি থের।
বক্তারা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মেয়েসন্তান জন্মগ্রহণ করার পরে বাড়িতে এখনো আনন্দিত হয়ে সারম্বড়ে অনুষ্ঠান উদযাপন করে। ডা. বেণী মাধব বড়ুয়ার কোন ছেলে সন্তান না থাকলেও তাঁর চার মেয়ে একত্রিত হয়ে সেবামূলক কর্মকাণ্ড করার প্রয়াসে মাতা পিতার নামে যে ফাউন্ডেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তারা আরো বলেন, ডা. বেণী মাধব বড়ুয়াকে পাশ্ববর্তীরা এখনো এক নামে জানেন শুধুমাত্র তাঁর কীর্তির জন্য। তিনি ছিলেন এই অঞ্চলের একজন গুণীজন ও সাধু ব্যক্তিত্ব।
পরে রাউজান লাঠিছড়ি সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত অভয়ানন্দ থের ফিতা কেটে ডা. বেনী-মায়া ফাউন্ডেশনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী সাংবাদিক অসীম বিকাশ বড়ুয়া, মাস্টার দুলাল কান্তি বড়ুয়া, সাধন বড়ুয়া, খোকন বড়ুয়া ও ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ও পরিচালক ধর্মপুর কমল কৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ডেজী রানী বড়ুয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ঝর্না রানী বড়ুয়া, অনিমা রানী বড়ুয়া ও কণিকা রানী বড়ুয়া, লায়ন নিপু কান্তি বড়ুয়া, প্রিয়তোষ বড়ুয়া, সাংবাদিক এম শাহনেওয়াজ নাজিম, সাংবাদিক বাচ্চু বড়ুয়া, রাজু বড়ুয়া, রিকু বড়ুয়া, শাওন ও ইমন বড়ুয়া প্রমুখ।