বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক এমপিএ ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট শিল্পপতি মির্জা আবু মনসুর আর নেই। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নলিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাহে রাজিউন)।মির্জা মনসুর দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, তিন ভাই, পাঁচ বোনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে যান।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজার নামাজ, দুপুর দু’টায় ফটিকছড়ি ডিগ্রি কলেজ মাঠে দ্বিতীয় এবং বিকেল চারটায় নানুপুর আবু সোবহান হাইস্কুল মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পপতি ও সমাজ সেবক মির্জা আবু মনসুরের মৃত্যুতে চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি, মির্জা আবু স্টিল ও মির্জা আবু এন্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মির্জা আবু মনসুরের মৃত্যুতে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকমণ্ডলীর পক্ষে সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন ও সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মনসুরের জন্ম ১৯৪৬ সালে ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মির্জা পরিবারে। তাঁর বাবা ছিলেন মরহুম মির্জা আবু আহমদ।তিনি ছিলেন যুদ্ধকালীন এক নম্বর সেক্টরের (ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক কমান্ড) জোনাল কমান্ডার।
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীর নির্দেশে দেশের যে ১৪ জন এমপিএ ও এমএনএকে তখন পূর্ণাঙ্গ সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য বিহারের চাকুলিয়া সেনা প্রশিক্ষণ কলেজে পাঠানো হয়, মির্জা মনসুর ছিলেন তাঁদের একজন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে মেজর হিসেবে নবগঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত কমিশন দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বীরযোদ্ধাকে ধরিয়ে দিতে পাকবাহিনী এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মনসুর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপিএ নির্বাচিত হন।