দেশের অগ্রগতি ও পটিয়ার উন্নয়ন দুর্নীতি মুক্ত রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। ধর্মবর্ণনির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) শোভনদন্ডী ও কচুয়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পৃথক দুটি বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা হচ্ছেন জনগণের সেবক, শোষক নয়। জনগণের সেবা করাই একজন জনপ্রতিনিধির নৈতিক দায়িত্ব। শেখ হাসিনা ক্ষমতাই আছে বলেই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কক্সবাজার রেললাইন ইত্যাদি বড় বড় মেগা প্রকল্ল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ উঠে গেছে সে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আগামী ৭ জানুয়ারী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সামশুল হক চৌধুরী যেমন যুবদল জাতীয় পার্টি হয়ে আওয়ামী লীগে এসেছে। ঠিক তেমনি তিনি এমপি হওয়ার পর থেকেই দলে বিএনপি জামায়াত-শিবির আর জাতীয় পার্টি থেকে লোকজন এনে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে দলের ত্যাগী নেতাদের দূরে রেখেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী তাকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে পটিয়া আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়েছেন। এখন তিনি নাকি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটিয়ার তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মনের কষ্ট বুঝতে পেরে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।
কচুয়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুছা খাঁনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট অঞ্জন সরকারের সঞ্চালনায় অপরদিকে শোভনদন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসান খোকনের সভাপতিত্বে ও আবদুল করিমের সঞ্চালনায় পৃথক দুটি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ নাছির, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুজ্জমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু সুলতান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহেরুল আলম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, ড. জুলকারনাইন চৌধুরী, নাছির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মধ্যে আবুল কাশেম, মো. সেলিম, এহসানুল হক, ইনজামুল হক জসিম, এমএ হাশেম, মাহাবুবুর রহমান, শাহিনুল ইসলাম শানু, জাকারিয়া ডালিম, ফৌজুল কবির কুমার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক, মুহাম্মদ ছৈয়দ, শাহাদাত হোসেন ফরিদ, ঋষি বিশ্বাস,কাউন্সিলর গোফরান রানা, মহিলা নেত্রী সাজেদা বেগম, সেলিনা আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা ডিএম জমির উদ্দিন, আ ন ম সেলিম, গোলাম কিবরিয়া, ব্রজহরি মাস্টার, জসিম উদ্দিন শিশু, আব্দুল করিম, মনজুর কাদের, এমএ খালেক খান, যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দীন পারভেজ, হাবিবুর হক চৌধুরী, নুরুল আমিন, নুর আলম ছিদ্দিকী, আবু সাদাত সায়েম, মহিউদ্দিন মহি, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, ওসমান গণি, শাহাদাত হোসেন, মনজুরা বেগম, রহিমা বেগম, আমির হোসেন, নবীর হোসেন টিপু, আবুল কালাম, গোলাম কাদের, ফরিদুল আলম, খোরশেদ আলম, আলতাফ মাহমুদ শান্ত, ছাত্রলীগ নেতা তারেকুর রহমান, রুবেল দাশ বাবু, এআর শাকিল, আশরাফুল আলম সাজ্জাদ প্রমুখ।