প্রথমে আমি শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার হয়েছেন তার পরিবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিকড়ে নিয়ে গেছেন-এটা আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের গর্বের, গৌরবের এবং আনন্দের।
আমি মনে করি চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনার দ্বিতীয় বাপের বাড়ি। সে কারণে চট্টগ্রামের প্রতি তার অনেক টান। চট্টগ্রামের প্রতি অনেক দুর্বল তিনি। কারণ হিসেবে বলতে হলে বলব, এই চট্টগ্রামের রাইফেল ক্লাবেই তার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন কারাবাসে। এ জন্য আজকে আমি স্মরণ করতে যাই সাবেক মন্ত্রী মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরী, এমএ আজিজ, এম এ হান্নান, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এম এ মান্নান সহ আমাদের তৎকালীন অনেক নেতা সেদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের নেত্রী, এশিয়ার লৌহ মানবী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা সম্পন্ন করেছেন। সেজন্য মনে হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানীখ্যাত বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় বাপের বাড়ি। সেই কারণে হয়তো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম টানেল এই চট্টগ্রামেই নির্মাণ করেছেন। চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গৌরবের। অনেক উচ্ছ্বাসের।
আমরা চট্টগ্রামবাসী এজন্য খুবই আনন্দিত। কারণ আমরা কখনোই কল্পনাও করি নাই নদীর তলদেশে রাস্তা হবে। তাও চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামবাসীর জন্য এত সুন্দর একটা উন্নয়ন চিন্তা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই, অভিনন্দন জানাই এবং অভিবাদন জানাই।
এই টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে। নদীর ওইপাড়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের কারণে পণ্য আনায়ন থেকে শুরু করে সবকিছু সহজে শহরে প্রবেশ করতে পারবে এবং চট্টগ্রাম শহর থেকে সহজেই কর্ণফুলী হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া যাবে।
পদ্মা সেতু যেমন দেশের দক্ষিণ অঞ্চলকে সমৃদ্ধ করেছে, কর্ণফুলী টানেলও এতদ্বঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হবে।
দেশের দ্বিতীয় রাজধানী চট্টগ্রামে টানেল নির্মাণ করায় একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নাগরিক হিসাবে সর্বোপরি একজন চট্টগ্রামবাসী হিসেবে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ চট্টগ্রামবাসীর জন্য তিনি যা করেছেন তা বলার মতো না। যদি সামনাসামনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা হতো তাহলে তার পা ছুুঁয়ে দোয়া করতাম। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘজীবী করুন। কারণ উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটা বাস্তবায়নে বিকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ২০৪১ সালে আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। সে ভিশনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা আমাদের গৌরবের, এটা আমাদের অহংকারের। ইনশাল্লাহ শেখ হাসিনা এগিয়ে যাবেন। আর তিনি এগিয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া। জয় বাংলা. জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
খালেদা আকতার চৌধুরী
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ