যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলকে সমর্থন জানাতে দেশটিতে সফর করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি। বুধবার তিনি ইসরায়েলে পৌঁছেছেন বলে লাইভ প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, ‘হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি জনগণের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অটল সংহতি প্রদর্শন করতে পররাষ্ট্র সচিব আজ ইসরায়েলে এসেছেন।’
মৃখপাত্র আরও বলেছেন, ‘তিনি হামলায় বেঁচে যাওয়া এবং ইসরায়েলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থনের রূপরেখা দিতে এই সফর করেছেন তিনি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বহনকারী প্রথম বিমানটি মঙ্গলবার মধ্য রাতে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাটিম এয়ারবেসে পৌঁছেছে। আইডিএফ তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছে, যুদ্ধের সময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা একটি মূল অংশ।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চালান প্রবেশের আগমনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এক্সে তারা বলেছে, সরঞ্জামগুলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিওপিপি (উৎপাদন ও সংগ্রহ বিভাগ), ইউএস প্রকিউরমেন্ট মিশন এবং আন্তর্জাতিক পরিবহন ইউনিটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ইসরায়েলে আনা হয়েছে।’
হামাসের হামলায় তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ফোনে তিনি ইসরায়েলের প্রতি তার দেশের অব্যাহত সমর্থন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে করা মন্তব্যে বাইডেন হামাসের নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি হামলায় ১৪ জন মার্কিন নাগরিক নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতের মতে, শনিবার দক্ষিণ ইসরায়েলে তাদের অভিযানের পর হামাস যোদ্ধারা গাজা জুড়ে প্রায় ১৫০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে। হামাস বলেছে, ইসরায়েল যদি সতর্কতা ছাড়াই গাজায় লোকদের ওপর হামলা চালায় তবে তারা বেসামরিক জিম্মিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা শুরু করবে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সংঘাতের পঞ্চম দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৫ জনে। আহত হয়েছে আরও ৫ হাজার ১০০ জনের বেশি। গাজায় আহতদের প্রায় ৬০ শতাংশই নারী ও শিশু।