মিয়ানমারে রাতের আঁধারে বাস্তুচ্যুত মানুষের ক্যাম্পে জান্তা বাহিনীর হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির কাচিন প্রদেশে এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পৃথক দুই প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ।
রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি শিবিরে আর্টিলারি হামলায় অনেক লোক নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় মিডিয়া, একজন কর্মী এবং এলাকার সূত্র মঙ্গলবার জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছেন।
রয়টার্স অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এসব রিপোর্ট যাচাই করতে পারেনি।
কাচিন মিডিয়া এবং স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতের কাছাকাছি সময়ে হামলার এই ঘটনাটি ঘটে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের ওই ক্যাম্পটি কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) পরিচালিত একটি সামরিক ক্যাম্প থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কেআইএ মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে।
হামলা ও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেআইএ-এর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া এ বিষয়ে জানতে মিয়ানমারের জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গেও তাৎক্ষণিকভাবে যোগযোগ করা যায়নি।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) একজন মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার প্রতিবেদন এবং ছবি শেয়ার করেছেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিতকরণের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি এনইউজি।
উত্তর মিয়ানমারের লাইজা শহরটি কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) রাজধানী। শহরটি চীনা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত এবং শহরে ও এর আশপাশে বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে বসবাসকারীসহ অনেক বেসামরিক নাগরিক সেখানে বাস করেন।
পৃথক প্রতিবেদনে মিয়ানমার নাউ বলছে, সোমবার মধ্যরাতে উত্তর মিয়ানমারের লাইজায় জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সদর দপ্তরের কাছে অবস্থিত একটি গ্রামে জান্তা বাহিনীর সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় প্রায় ৩০ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি (আইডিপি) নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কাচিন প্রদেশের চীন সীমান্তে অবস্থিত লাইজা থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে অবস্থিত মন লাই হেকেট গ্রামে রাত ১১ টা ২৫ মিনিটে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আক্রমণ শুরু করে। প্রায় ৫০০ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ওই ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল।