নেপালে এক তরুণের তলপেট থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি ধারালো ছুরি বের করা হয়েছে। ব্যথা নিয়ে আগের দিন ২২ বছর বয়সী ওই তরুণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে যাওয়ার আগের দিন ওই তরুণকে মারধর করে অন্য কয়েকজন তরুণ। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে তার তলপেটে জখমের স্থানে সেলাই করে দেওয়া হয়।
কিন্তু তার পেটের ভেতরে যে ধারালো ছুরি আছে, সেই বিষয়ে কারও কোনও ধারণাই ছিল না। কারণ ওই তরুণের শরীরের ভেতরে ছুরি ঢুকে যাওয়ার মতো বড় কোনও জখম দেখতে পাওয়া যায়নি। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া ওই তরুণদের সঙ্গে মারামারির বিষয়েও বেশি কিছু স্মরণ করতে পারছিলেন না তিনি। কারণ মারামারির ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি।
একদিন পর তলপেটে অব্যাহত অস্বস্তি অনুভব করেন ওই তরুণ এবং হাসপাতালে যান। তার পেটও আঁটসাঁট ছিল না। এমনকি তার কোনও ধরনের বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, বমি বা কোষ্ঠকাঠিন্য ছিল না। শরীরে রক্তের মাত্রাও স্বাভাবিক ছিল বলে চিকিৎসকরা রিপোর্টে জানিয়েছেন।
চিকিৎসকরা ওই তরুণের শরীর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার শরীরের ডানপাশে কয়েকটি সেলাই দেখতে পান এবং এই বিষয়ে জানতে চান তারা। চিকিৎসকদের ওই তরুণ আগের দিনের ছুরিকাঘাতের ব্যাপারে জানান। পরে এক্স-রে ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ল্যাবরেটরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় তার।
এক্স-রে রিপোর্টে চিকিৎসকরা ওই তরুণের তলপেটের ভেতরে ছুরির ফলা ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। ছুরিটি পেটের এক পাশ থেকে আরেক পাশে আটকে আছে। তবে ছুরিটির অবস্থানের আশপাশের কোনও অঙ্গ গুরুতরভাবে জখম হয়নি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
পরবর্তীতে তলপেট থেকে ছুরি অপসারণের জন্য ওই তরুণের ল্যাপারোটোমি করা হয়। এ সময় চিকিৎসকরা তার তলপেটের টিস্যুতে মোড়ানো অব্স্থায় ছুরিটি দেখতে পান।
চিকিৎসকরা বলেছেন, ওই তরুণ পুরো সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তিনি আর হাসপাতালে আসেননি।