বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির আনুষ্ঠানিকতা শুক্রবার প্রথম প্রহরে শুরু হয়, যাতে অংশ নেন বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সারাদেশে শহীদদের শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তব অর্পণ, ডিসপ্লে, কুচকাওয়াজ , শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানে লাল-সবুজ উড়িয়ে বিজয় উদযাপন করেছে বাংলাদেশের মানুষ।
বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির আনুষ্ঠানিকতা শুক্রবার প্রথম প্রহরে শুরু হয়, যাতে অংশ নেন বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভোরে তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে দেশে নানা প্রান্তের বিজয় উদযাপনের চিত্র উঠে এসেছে।
ফেনী
শহরের জেল রোডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংস্থাও শ্রদ্ধা জানায়।
ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন, জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ফেনী সরকারী বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলা ও শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা হয়।
বাগেরহাট
শহরের দশানী এলাকায় শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠন।
সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসন।
লক্ষ্মীপুর
শহরর বাগবাড়ি গণকবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধ নিবেদন শেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. আনায়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপারসহ, জেলা মুক্তিযাদ্ধা সংসদর নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরা
সকাল ৭টায় স্থানীয় নোমানী মাঠে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার এবং জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংস্থা।
পরে জেলা প্রশাসন সকাল সাড়ে ৯টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পুলিশ ও আনসারসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বেনাপোল
সকালে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখসহ স্বাধীনতার সাত সূর্যসন্তানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠন। শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া করা হয়।
বিজিবি মহা-পরিচালকের পক্ষে যশোর- ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
যশোর বিজিবির পক্ষে শার্শা উপজেলার কাশিপুর হাইস্কুলে মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ব্যাংদা হাইস্কুলে মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
কাশিপুর হাইস্কুলে মাঠে ৯৫ জন পুরুষ ও ২৬০ জন নারীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
ভোলা
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে শোভাযাত্রা একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে সকালে শহরের বাংলাস্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনের আলোচনা সভায় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতা সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
চাঁদপুর
একাত্তরে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সর্বস্তরের শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের ‘অঙ্গীকার’ বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের পক্ষে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
এছাড়াও জেলার সরকারি দপ্তর, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
ফরিদপুর
শহরের গোয়ালচামট এলাকায় সকালে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামিম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, পৌরমেয়র অমিতাভ বোস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পরে শহরে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে শেখ জামাল স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্যারেডে অংশ নেন। এছাড়া বিদবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
গাজীপুর
শহরের রাজবাড়ি মাঠে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আসিনুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, গাজীপুর জেলা পুলিশ এসএম শফিউল্লাহ। এর পর তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও পুষ্পস্তব অপর্ণ করেন।
পরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ গাজীপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গাজীপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক কর্মসূচি পালন করে।
গোপালগঞ্জ
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। জেলা প্রশাসনের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি শহিদ উল্লা খন্দকার, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোপালগঞ্জ জেলা ইউনিট, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ইউনিট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষিগবেষণা ইনস্টিটিউট, জেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।
সকালে শহরের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
কুড়িগ্রাম
সকালে কুড়িগ্রাম স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে আনুষ্ঠানিকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, পৌরসভা, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে শেখ রাসেল অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের এবং গর্বিত মুক্তিযোদ্ধার মায়েদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শিশু একাডেমিতে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
নওগাঁ
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মশরপুর বাইপাস মোড়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল জনকে সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান।
পরে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ ছাড়া দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবধর্না, আলোচনা, বিজয় শোভাযাত্রা। কারাগার ও এতিমখানায় বিশেষ খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
নরসিংদী
সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
নাটোর
স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা এবং সকল স্তরের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জানান। এছাঢ়া সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
নীলফামারী
সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পোস্টার ও পুস্তক প্রদর্শনী, নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট, গার্লস গাইড, বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী ও শিশু-কিশোরদের কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
ডিসি গার্ডেনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা হয়।
পিরোজপুর
শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী সাইফুদ্দীন, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালমা রহমান হেপী।
পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, এসময় জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা তথ্য অফিস, সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভৃতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
সাতক্ষীরা
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে শহরের খুলনা রোড় মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুলেল মাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন সংগঠন।
পরে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ফেস্টুন ও কবুতর উড়েয়ে মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির।
শেরপুর
সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান। এ ছাড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ’৭১, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা , পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটস, গার্লস গাইড, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী এবং শিশু কিশোর সংগঠনের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়
সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে শহীদ মিনার ও ৮টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য, ডিনস ফোরাম, বিভিন্ন বিভাগ, শাবি শিক্ষক সমিতি, শাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন।
পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলচত্বরে এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবন ‘ডি’তে শিশুদেরকে নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, ইউনিভার্সিটি সেন্টার, আবাসিক হল, কিলোরোড, গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর ও প্রধান ফটক বর্ণিল সজ্জায় সাজানো হয়।
টাঙ্গাইল
সকালে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের পক্ষে জাফর আহমেদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন।-বিডি২৪নিউজ