ইয়াদ শাকুরা, দায়িত্বে ছিলেন গাজায় খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগের। ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে মরদেহ আহত দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে গত সোমবার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন ইয়াদ। জরুরি বিভাগে তিনি তাঁর দুই সন্তান, মা ও দুই ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পান। আর এটি দেখে অজ্ঞান হয়ে যান ইয়াদ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় মারা যান ইয়াদ শাকুরার পরিবার।
এই চিকিৎসক মঙ্গলবার সকালে পরিবারের মরদেহ শেষবারের মতো দেখছিলেন। সেখানে তাঁকে নিহতদের নাম লিস্টে তুলতে দেখা যায়।
সন্তান আব্দেলরহমানের রক্তাক্ত কপালে হাত দিয়ে শাকুরা বলেন, আমার পাঁচ সন্তান ছিল, কিন্তু সে ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয়। এখন, আমি আমার সন্তানদের কবর দিয়ে কাজে ফিরব।
পরে শাকুরা হাসপাতালের আঙ্গিনায় তার পরিবারের সদস্যদের জানাজার নামাজ পড়ান। এরপর তাদের মৃতদেহ নিকটবর্তী একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শাকুরা কোলে করেই তাঁর সন্তান আবদেলরহমানকে কবরস্থানে নিয়ে যান এবং দাফনের আগে শেষবারের মতো তার মাথায় চুমু খান।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়। এরপর হামাসকে লক্ষ্য করে হাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ৪ হাজারেরও বেশি শিশুসহ ১০ হাজার ২২২জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি নিহত হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জন।








