পঞ্চম দিন ভালোই লড়াই করেছে আয়ারল্যান্ড। বিশেষ করে কার্টিস ক্যাম্ফার লড়াই চালিয়ে করেছেন ৭১ রান। শেষ পর্যন্ত তাকে আর আউট করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। আউট হয়েছেন তার সঙ্গে জুটি গড়া ম্যাকব্রাইন ও গেভিন হোয়ে।
জিততে হলে গড়তে হতো ইতিহাস। লক্ষ্য অনুযায়ী জেতার সুযোগও ছিল নেই না। এরপরও দুশোর বেশি বাকি থাকা রান জিততে চাইলে দেড় সেশনে ব্যাট চালাতে হতো টি-টোয়েন্টি মেজাজে। হাতে ছিল কেবল ২ উইকেট। এমন অবস্থায় গেভিন হোয়েকে নিয়ে গড়েন ৫৪ রানের জুটি।
সেই জুটি ভেঙে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরান হাসান মুরাদ। ৩৭ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি দলীয় ২৯১ রানে। পরের বলেই বোল্ড হন ম্যাথু হাম্প্রেস। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ২১৭ রানের জয়।
পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হলে লাঞ্চের দুই উইকেট হারিয়ে ৮ উইকেটে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। জয়ের জন্য তখনও দরকার ছিল ২৪৬ রান। দিনের শুরুতে ২১ রান করা ম্যাকব্রাইনে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তাইজুল ইসলাম বনে যান টেস্ট ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট শিকার করা প্রথম বাংলাদেশি বোলার। ম্যাকব্রাইনের বিদায়ে ১৮৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল সফরকারীরা।
জর্ডান নেইল ৩০ রান করেন ওয়ানডে মেজাজে। কিন্তু তাকে বোল্ড করে দলীয় ২৩৭ রানে থামিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তখন পতন হয় ৮ উইকেটের।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ। সমান একটি করে উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদের ঝুলিতে।
এর আগে, চতুর্থ দিন ৬ উইকেট হারিয়েও ম্যাচটাকে পঞ্চম দিনে টেনে নিতে সক্ষম হয় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ড চতুর্থদিন শেষে রান তোলে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান। জয়ের জন্য তখন তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৩৩ রান। ৩৪ রানে কার্টিস ক্যাম্ফার ও ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।
১ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। সাদমান ৭৮ রান করে আউট হয়ে গেলে মাঠে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তিনি ৫ বল খেলে ১ রান করে আউট হয়ে গেলে মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম।
দলীয় ২৯৭ রানের মাথায় মুমিনুল হক আউট হয়ে যান। ১১৮ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। এ সময় ৮১ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। নিজের শততম টেস্ট ম্যাচকে রানে রানে ভরিয়ে দিলেন মুশফিক।
মুমিনুল আউট হতেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ৫০৮ রান।
জয়ের জন্য ৫০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পল স্টার্লিংয়ের উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৯ রান করে আউট হন তিনি। ১৩ রান করে আউট হন অ্যান্ডি বালবিরনি। মোট কথা শুরু থেকেই তাইজুলের ঘূর্ণি তোপে পড়ে আইরিশরা। ১৯ রান করে হাসান মুরাদের বলে আউট হন কেড কারমাইকেল।
দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন হ্যারি টেক্টর। ৮০ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি। লরকান টাকার ৭ রানে আউট হন। ১৫ রান করে আউট হন স্টিনে দোহেনি। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ১১ এবং কার্টিস ক্যাম্ফার ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।






