ভারত থেকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এবার সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই চাল কিনতে ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫০ টাকা। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৩ টাকা ৪১ পয়সা।
গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি দরপত্র জমা পড়ে। ৬টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান এম/এস এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের (উৎস: ভারত) কাছ থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৩৫৫.৫৯ মার্কিন ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১৭ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫০ টাকা।
উপদেষ্ট পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই চাল কেনার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি পর্যালোচনা করে প্রত্যাশামূলক অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ৪৩ টাকা ৪১ টাকা।
এর আগে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভারতের মেসার্স গুরুদেব এক্সপোর্টস করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এই চাল আনতে ব্যয় ধরা হয় ২১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার ১৭০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয় ৩৫৬.৭৮ মার্কিন ডলার। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ধরা হয় ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা।







