জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করলে ‘আম ও ছালা দুইটাই যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ডা. তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধিদলে ছিলেন এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার ও মতিউর রহমান আকন্দ।
বৈঠক শেষে ডা. তাহের সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কেউ কেউ বলেন- গণভোট করতে গিয়ে যদি ঝামেলা হয়ে যায় তাহলে জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে যাবে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের দিন যদি গণভোট হয় আর কোনো ঝামেলা হয় তাহলে আম-ছালা দুটোই যাবে।
‘আমরা মনে করি, গণভোটের মতো একটি সহজ নির্বাচন যেন আমরা এখানে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারি। জাতীয় নির্বাচনের সময় পুলিশ কীভাবে সহযোগিতা করে সেটা এক্সপেরিমেন্টের জন্য গণভোট করা যেতে পারে।’
ডা. তাহের আরও বলেন, গণভোট তো খুব সিম্পল একটি ইলেকশন। এখানে খুব বড় ধরনের কোনো ফাইন্যান্স নেই। যে বাক্স আপনি জাতীয় নির্বাচনের জন্য কিনবেন ওই বাক্স দিয়েই গণভোট করা যাবে। শুধু বাড়তি খরচ একটি ব্যালট ও কালি। এছাড়া যারা ইনভলভ হবেন অফিসাররা বা এক্সিকিউটিভ যারা আছেন তাদের যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার জন্য কিছু খরচ লাগবে। এর বাইরে তো তেমন কোনো খরচ নেই।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন সব দল ব্যস্ত থাকবে। সবাই জাতীয় নির্বাচনের দিকে কনসার্ন থাকবে। দেখা যাবে গ্রামের সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষ বা দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে ওই কাগজটা (গণভোটের ব্যালট) পকেটে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। তাকে আরেকটা ভোট দেওয়ার জন্য কে চাপাচাপি করবে? কারণ, দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা তখন জাতীয় নির্বাচনের ভোটের জন্য দৌড়াবে।
‘সে কারণে বলা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট পৃথকভাবে করতে হবে। আলাদা যদি হয় মানুষ এটি রিটার্ন করবে এবং দেশের মানুষ সংস্কার চায়’- যোগ করেন ডা. তাহের।








