চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শাহ আলম নামের এক বেকারি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ের দক্ষিণে মায়ের দোয়া বেকারিতে এ নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাহ আলম সাতকানিয়া থানাধীন সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রুপকানিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়া নিবাসী মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র।
বাঁশখালী থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর ধরে মায়ের দোয়া বেকারিতে শ্রমিকের কাজ করতেন নিহত শাহ আলম। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সহকর্মী স্থানীয় পূর্ব জলদী লস্কর পাড়ার মাহবুব আলমের সাথে ঝগড়া হয়। বেকারি মালিক এজহারুল হক উভয়কে ডেকে মীমাংসা করে দেয়। আজ শুক্রবার ভোরে ফজর নামাজ শেষে সহকর্মীরা বাসায় ফিরে শাহ আলমের রক্তাক্ত শরীর পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেকারী মালিক এজহারুল হক জানান, মাহবুব ও শাহ আলমের হাতাহাতির কথা শুনে মীমাংসা করে দুজনকে সরিয়ে দিই। আজ ভোরে কে বা কারা শাহ আলমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে জানি না। তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করে খুনিদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। বেকারিতে ৬/৭ জন শ্রমিক থাকতো বলেও জানান তিনি।
বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হালদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বেকারি শ্রমিক শাহ আলমকে হত্যার ঘটনায় খুনিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। এই ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও প্রধান সন্দেহজনক মাহবুব আলম পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে।