বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কৃষকরা। মাঘের কনকনে শীতকে উপেক্ষা করেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে হাল-চাষ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়,মাঠে মাঠে কৃষকদের ব্যস্ততা। গরু ও ট্রাক্টর দিয়ে চাষের উপযোগী জমি তৈরি, পানি সেচ, বীজতলা থেকে চারা উঠানো শেষে জমিতে রোপণের মতো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এসময় নারীদেরও কৃষিকাজে সহযোগিতা করার দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, অন্য বছরের তুলনায় এবার কয়েকগুণ বেশি জমিতে বোরো চাষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে উপজেলায়। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৯১০ হেক্টরের মধ্যে। আমনের পাশাপাশি বোরো আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে শীতে বীজতলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় জমিতে চাষাবাদ ঠিক মতো করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮ হাজার বা সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর পর্যন্ত আবাদ হবে বলে আশা করছে কৃষি অফিস।
হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর জব্বার জানান, প্রতি বছর ধানের চাষ করি। এ বছরও করছি। তবে বীজের দাম বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে।
কৃষক মইনুল হক বলেন, সবকিছুর দাম বেশি থাকায় ধান চাষে ব্যয় বেশি হচ্ছে। তবে এবার বীজ ভালো পাওয়া গেছে। আশা করি ফলনও ভালো আসবে।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার তেমন একটা ক্ষতি না হওয়ায় কৃষকরা অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন। আশা করছি, মূল লক্ষ্যমাত্রার বেশি বোরো ধান চাষ হবে। এছাড়াও উপজেলার কৃষকদের বোরো বীজতলা তৈরি করা থেকে শুরু করে জমিতে চারা রোপণ করা পর্যন্ত সব পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।