ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সহযোগিতা করায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মো. দিদারুল আলম নামে এক ইউপি সদস্যের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে হারুয়ালছড়ির ২নং ওয়ার্ডের মহানশাহ পাড়া মসজিদের সামনে এ হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
জানা গেছে, হারুয়ালছড়িতে স্কেভেটরের সাহায্যে অবৈধভাবে নাল জমির মাটি (টপ সয়েল) কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা, পরিবহন করা ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার অপরাধে রোববার দিবাগত রাতে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মহানশাহ পাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজের বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময় স্কেভেটর মালিক পক্ষের মো. রফিকুল আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান শেষ করে রাত ১টার পরে বাসায় ফেরার পথে মহানশাহ পাড়া মসজিদের সামনে ৪-৫জন যুবক ইউপি সদস্য মো. দিদারুল আলমকে আটক করে মারধর ও গালাগালি করে হুমকি দেন। পরে তিনি ফটিকছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ইউপি সদস্য মো. দিদারুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করতে যাওয়ার সময় আমাকে ডেকে নিয়ে যান। আমাদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরীও অভিযানে গেলে সহযোগিতা করার জন্যেও আমাকে নির্দেশ দেন। রোববার রাতে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে সেখানে মাটি কাটার একটি স্কেভেটর পেয়ে সেটি জব্দ করেন তিনি। অভিযান শেষে রাত ১টার পর আমি একা বাসায় আসার পথে মহানশাহ পাড়া মসজিদের সামনে ৪-৫জন যুবক আমাকে আটক করে মারধর করতে থাকে। এসময় তারা আমাকে গালাগালি করে হুমকি দিতে থাকেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন- স্কেভেটরের সাহায্যে অবৈধভাবে নাল জমির মাটি (টপ সয়েল) কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা, পরিবহন করা ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার অপরাধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ এনে মো. রফিকুল আলম নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে মাটি খননের কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
ইউপি সদস্যকে মারধর ও হুমকির ব্যাপারে তিনি বলেন- ইউপি সদস্য মো. দিদারুর আলম থানায় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে থানা ব্যবস্থা নিবে। আমি মামলা নেওয়ার জন্য অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বলে দিয়েছি।