চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পৌর কাউন্সিলর আবু তৈয়ব ও তাঁর পরিবারের নানা অনিয়মের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পরে চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কে এলাকাবাসীর আয়োজনে ও চন্দনাইশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এতে যোগ দেন স্থানীয়রাও বিভিন্ন প্লে কার্ড নিয়ে অংশ নেন। মানববন্ধনে কমিশনার আবু তৈয়ব আলী ও অন্যান্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা। এলাকায় সাধারণ মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। কিন্তু এ এলাকার শান্তি হরণ করেছে কমিশনার তৈয়ব আলী। তৈয়ব আলী দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মানুষের উপর অন্যায়—অবিচার ও প্রভাব প্রতিপ্রত্তি বিস্তার করে চলেছেন। এলাকার প্রতিটি মানুষকে তৈয়ব আলী সন্ত্রাসী দ্বারা জিম্মি করে রেখেছে। তৈয়ব আলী এলাকায় যা বলে তা বাস্তবায়নের জন্য তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদ করলে সাধারণ মানুষ রেহাই পায় না।
তারা বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ভোটের আগের দিন রাতে তার বাহিনী দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রবাসী লায়ন রফিকুল ইসলাম রফিকের বাড়ি, আব্দুল জলিল, আবদুল রফিক, নাছির, আবদুর জলিল, ওসমান গনি, ব্যবসায়ী জাফরের বাড়িসহ আরও ৫-৬টি বাড়ি ভাংচুর করেন। বক্তারা মানববন্ধনে এই ধরণের অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের নিকট দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এসময় মানববন্ধনকারীরা চট্টগ্রাম—কক্সবাজার মহাসড়কে বাগিচাহাট বুলার তালুক পেট্রোল পাম্প এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য লায়ন রফিকুল ইসলাম রফিকের বাড়ি এসে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— মিজানুর রহমান তুহিন, মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দীন, আব্দুল জলিল, ওসমান গণি, আমিনুল হক, আবু তাহের, আবু জাফর, জাবেদুর রহমান মুরাদ, আল করিম, মামুনুর রশিদ, মো. কায়েস, মো. সাঈদ, নোমান গণি, মো. নাছির, মো. আব্দুর রফিক, মো. সেলিম, জিল্লুল রহমান, মো. ফয়সাল, মো. সোলাইমান, মো. সোহেল প্রমুখ।