পাহাড়ে সকল শাসন শোষন ও বঞ্চনার রিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ হোন এই আহবানে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রী কলেজে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে নবীন বরণ ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ দীঘিনালা থানা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিবেক চাকমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংহতি সমিতির খাগড়াছড়ির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রীতি খীসা, ছাত্রনেতা নিটন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুনেন্টু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুজন চাকমা ঝিমিত, জেএসএস দীঘিনালা থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চয়ন বিকাশ চাকমা, যুব সমিতির খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি সোনামনি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) দীঘিনালা উপজেলা শাখার ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক নলেজ চাকমা জ্ঞান, জনসংহতি সমিতি(জেএসএস) দীঘিনালা থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর চাকমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নবীনরা আগামী জীবনে দেশের উন্নয়নকাণ্ডারী। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রদের ভূমিকা অতুলনীয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের আন্দোলনের জন্য জনসংহতি সমিতি কাজ করছে। জনসংহতি সমিতি আজ ৩৪ বছর পেরিয়ে ৩৫ বছর পদার্পণ করছে। তারা পার্বত্য শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নে করে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো ভোটার হালনাগাদ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের দাবী জানান।
বক্তারা বলেন, বিএনপির মত পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি গোষ্ঠীও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাল চায় না।
সভা শেষে সুশীল চাকমাকে সভাপতি, করুনা শেখর দেওয়ানকে সাধারণ সম্পাদক ও অনিত চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট কলেজ কমিটি এবং বিবেক চাকমাকে সভাপতি, মিটন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও সুমন চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট দীঘিনালা থানা কমিটি ঘোষণা করা হয়।