একটি চিহ্নিত মহল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করা চট্টগ্রামভিত্তিক সামাজিক সংগঠন ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ’ এর নেতৃবৃন্দ তথা পেশাজীবী, সাংবাদিক রাজনীতিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ১৯৭১ সালে পরাজিত রাজাকার আলবদর গোষ্ঠির মদদপুষ্ট চিহ্নিত মহলটি বাংলাদেশের সংবিধানের অপব্যাখ্যা দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে; প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও হাসপাতালে তাণ্ডব চালায়। পরবর্তী সময়ে তারা খাদ্যশস্য ও কাঁচামালবাহী যানবাহনেও তাণ্ডব চালায়; রেললাইনের ফিসপ্লেট উৎপাটন করে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটায়। এধরনের বর্বরতা জাতি মেনে নিতে পারে না। এসব নাশকতার মূল উদ্দেশ্য হলো সংসদ নির্বাচন প্রতিরোধ করা।
নেতৃবৃন্দ ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত সারাদেশের ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পংকজ কুমার দস্তিদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সি-ইন-সি স্পেশাল ফেরদৌস হাফিজ খান রুনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র সাংবাদিক নওশের আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজনীতিক কিরণ লাল আচার্য্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন আচার্য্য, সিনিয়র সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান বাবুল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু, সিনিয়র সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতা মো. খোরশেদ আলম, অধ্যক্ষ মো. আবদুল মালেক, অধ্যক্ষ বিজয়লক্ষ্মী দেবী, অধ্যক্ষ স্বপ্না চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কুসুম রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফি, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু সৈয়দ, রাজনীতিবিদ দীপংকর চৌধুরী কাজল, রাজনীতিবিদ এমরান মিঞা চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রকৌশলী মো. ইউসুফ, সিনিয়র সাংবাদিক জাকির হোসেন লুলু, সিনিয়র সাংবাদিক আবু জাফর মো. হায়দার, সিনিয়র সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, সিনিয়র সাংবাদিক শাহিনুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা মফিজুল আলম চৌধুরী, সাংবাদিক প্রশান্ত বড়ুয়া, যুবনেতা মাধব ধর প্রমুখ।