চট্টগ্রামে বড় বড় প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে আবদুচ ছালাম তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ বোয়াখালীবাসী নয়, সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কালুরঘাট সেতুকে বহুমূখী ও আধুনিকীকরণের স্বপ্ন আবদুচ ছালামের হাত ধরে বাস্তবায়ন হতে পারে, কারণ বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা রয়েছে এ নেতার। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে কেটলী মার্কায় আবদুচ ছালামকে এমপি নির্বাচিত করে শহর গ্রাম সবখানে উন্নয়নে চমক দেখাতে চাই।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ-বোয়ালখালী) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সমর্থনে চান্দগাঁও সিএন্ডবিস্থ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আবদুচ ছালাম চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর যোগ্য শিষ্য। তিনি স্বপ্ন দেখান না, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। সিডিএ’র চেয়ারম্যান পদে থেকে উন্নয়নের মাধ্যমে মাত্র ১০ বছরে তিনি চট্টগ্রামের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। দক্ষতা, কর্মনিষ্ঠা ও সততা থাকলে অনেক অসাধ্য কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়- চট্টগ্রামে বড় বড় প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে আবদুচ ছালাম তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। জনগণের আগ্রহের প্রতি সম্মান জানাতে আবদুচ ছালাম চট্টগ্রাম-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী না থাকায়, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের কেটলি মার্কার পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।
তারা আরও বলেন, আমরা জানি চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ বোয়াখালীর মানুষ নয় শুধু সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কালুরঘাট সেতুকে বহুমূখী ও আধুনিককরণের বিষয়টি দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত বিষয় এখানে রয়েছে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারিগর আবদুচ ছালামের হাত ধরে এ আকাঙ্খা পূরণ হতে পারে, বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা তাঁর আছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা মনে করি, তার কাছে জনগণের প্রত্যাশাতো আছেই, তার চেয়েও বড় কথা তাঁর নিরলস পরিশ্রম মেধায় চট্টগ্রামবাসী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী তথা কিছু মানুষের ভাষায় কামলা খাটার মাধ্যমে চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার, আউটা রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, আধুনিক সৈকত, জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পসহ শহরে অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরন ও নতুন সড়ক নির্মান, আধুনিক বাজার ব্যবস্থাপনা, আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রযুক্তিখাতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে একটি বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম উপহার দেয়ার স্বীকৃতি ও প্রতিদান দেওয়ার সুযোগ আমাদের হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে কেটলী মার্কায় কর্মবীর আবদুচ ছালামকে এমপি নির্বাচিত করে শহর গ্রাম সবখানে উন্নয়নে চমক দেখতে চাই।
সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, শফিক আদনান, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, নুর মোহাম্মদ নুরু, এস এস আনোয়ার মির্জা, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম, কাজী নুরুল আমিন মামুন, এম আশরাফুল আলম, মোবারক আলী, এসরারুল হক, মহিলা কাউন্সিলর জেসমীন আক্তার জেসি, ফেরদৌস বেগম মুন্নি।
পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সামশুল আলমের সভাপতিত্বে ও চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক নিজাম উদ্দিন নিজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহাবুবুল হক সুমন, আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, মহানগর যুবলীগ নেতা নুরুল আনোয়ার, ইশতেয়াক আহমদ চৌধুরী, এজেএম মহিউদ্দিন রনি, মোহাম্মদ তুষার, ইমতিয়াজ তুষার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মনোয়ার জাহান মনি, আজাদ খান অভি, দেবাশীষ আচার্য, তোসাদ্দেক নুর চৌধুরী তপু, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, নোমান চৌধুরী, আমির হোসেন সোহাগ, শহীদুল্লাহ বাবলু, হাসান আলভী, আশীষ সরকার নয়ন, শহীদুল আলম, রাশেদুল ইসলাম বাবু, মোস্তাফা কামাল, মামুনুর রশিদ, ফয়সাল খান শিফাত, মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।
সভাশেষে সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুচ ছালাম সবাইকে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে কেটলি মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।