জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। কনকনে হাওয়ার দাপটে জবুথবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের মানুষ। কুয়াশার কারণে রোদের দেখা নেই। প্রতিদিন কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় বইতে শুরু করবে শৈত্যপ্রবাহ। কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে, অর্থাৎ সেসব এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করবে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁর বদলগাছিতে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দুই দিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার তা কমে তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। একইভাবে ঢাকায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯, বৃহস্পতিবার তা ২ ডিগি কমে ১৪; রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫, আজ তা ৩ ডিগ্রি কমে ১১।
রংপুরে ছিল ১৫ দশমিক ৩, আজ তা ৩ ডিগ্রি কমে ১২ দশমিক ৩। ময়মনসিংহে ছিল ১৬ দশমিক ৮, তা ৫ ডিগ্রি কমে ১১ দশমিক ৭। সিলেটে ছিল ১৭ দশমিক ৫, আজ প্রায় একই ১৭। চট্টগ্রামে ছিল ১৮ দশমিক ৪, আজ ১৭ দশমিক ১। খুলনায় ছিল ১৫ দশমিক ৫, আজ ১৫ এবং বরিশালে ছিল ১৫, আজ তা কমে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নেমেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বাংলাদেশের পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আজ রাতের পরে উত্তরাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাবে। এ কারণে সেসব জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে শুরু করবে। এরপর আস্তে আস্তে এটি আরও কিছু এলাকায় বিস্তার করতে পারে। একই সময়ে ঢাকাসহ আরও বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা দুই-এক ডিগ্রি কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।