চট্টগ্রামের পটিয়ায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আশরাফুল আলম সাজ্জাদ (২৫) নামে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর এক সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে রশিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আশরাফুল আলম সাজ্জাদ শোভনদন্ডী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মঞ্জুরা বেগমের ছেলে।
আবু তারেক নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আশরাফুল আলম সাজ্জাদ রশিদাবাদ এলাকার একটি মিলাদ মাহফিলে যাওয়ার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী এমপির ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত ও মুজিবুল হক চৌধুরী নবাবের নির্দেশে রাতের আধারে এলাকার চিহ্নিত তারেকুল ইসলাম ইমন, সাকিব, সামু, ইনান, শহীদুল ইসলাম সহ আরও ৭-৮ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কেন মা ছেলে কাজ করছে এ কথা বলতে বলতে কিল ঘুষি ও লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন তারা। এসময় আহত আশরাফুল আলম সাজ্জাদ জোরে চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাজ্জাদ।
পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাত ৮টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে বেশ কিছু লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা প্রাথমিকভাবে তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার শরীরে ফুলা জখমের চিহ্ন রয়েছে।
আহত আশরাফুল আলম সাজ্জাদের মা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও ইউপি সদস্য মঞ্জুরা বেগম বলেন, আমি ও আমার পরিবার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে কাজ করার কারণে আমার ছেলে সামশুল হক চৌধুরী এমপির ভাইদের রোষাণলের শিকার হয়েছে। আমি এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করব।
এদিকে, এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী হাসপাতালে সাজ্জাদকে দেখতে আসেন। এসময় তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন এবং সব ধরনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন পারভেজ, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদা বেগম, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লিটন,নাজমুল সাকের সিদ্দিকী প্রমুখ।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান হাসপাতালে গিয়ে আহত সাজ্জাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, সাজ্জাদের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।