ছোটবেলায় পড়েছিলাম লন্ডনের টেমস নদীর তীরে টানেল রয়েছে, যেটি আজ বাংলাদেশে বাস্তবে রূপান্তর হচ্ছে। সেটাও দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে। এটা বিশ্বের বিস্ময়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাকে নির্মাণ করে চট্টগ্রামকে অনন্যভাবে মূল্যায়ন করেছেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে টানেল নির্মাণ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা অসাধারণ নজির স্থাপন করেছেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও সহানুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এক জনসভায় শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিজ কাঁধে নিয়েছি। তাই চট্টগ্রামকে তিনি দরদ দিয়ে ভালবাসেন এবং তাঁর ভালোবাসা স্বরূপ তিনি চট্টগ্রামে টানেল নির্মাণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অনুভূতির জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলে কারখানা গড়ে উঠবে। ফলে ওই সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে। চট্টগ্রামে বেকারত্বের হার কমবে, কারণ এতদঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে। এছাড়া আনোয়ারা, বাঁশখালী ও কক্সবাজার এলাকায় মৎস্য ব্যবসার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী পরিবর্তন সাধিত হবে।
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু নামে টানেল নির্মাণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উদারতা দেখিয়েছেন তার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও আমার পিতা জহুর আহমদ চৌধুরী ছিলেন রাজনৈতিক সহকর্মী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ৬ দফা প্রতিষ্ঠায় আমার পিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন ঘোষণা করেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশ দেন, তখন আমার পিতা জহুর আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিলো। এরপর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করে সেটি দেশে-বিদেশে প্রচারের জন্য জহুর আহমদ চৌধুরী কাছে পাঠিয়েছিলেন। তিনি তা প্রতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।
চট্টগ্রামের প্রতি জাতির জনকের যে অভূতপূর্ব ভালোবাসা ছিল, শেখ হাসিনাও সেই ভালোবাসা স্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম টানেল চট্টগ্রামেই নির্মাণ করেছেন। শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাবার
ভাষা আমার জানা নাই। আমি মনে করি যতদিন চট্টগ্রামের মানুষ বেঁচে থাকবে ততদিন শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।
শেখ হাসিনা সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হউক।
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী : সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ