কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনে সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪০ থেকে ৫০ জন। তছনছ হয়ে গেছে যাত্রীবাহী এগারো সিন্ধুর গোধূলি ট্রেনের পেছনের দুটি বগি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি গাইনাহাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। এ ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্য, রেলওয়ে ও জেলা পুলিশের সদস্যরাও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “মালবাহী ট্রেনটি এগারোসিন্ধুর ট্রেনের পেছনের দুটি বগিতে আঘাত করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”
ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আহতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা ভৈরব রেলওয়ে থানার এস আই মির্জা মো. মুক্তা বলেন, দুর্ঘটনায় উল্টে যাওয়া বগিগুলোর নিচে কেউ চাপা পড়ে আছে কি না, তা দেখছেন উদ্ধারকর্মীরা। বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ভিড় করে আছেন সেখানে।
দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কিশোরগঞ্জের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জে থেকে ছেড়ে আসা এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। আর কনটেইনার ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল।
“এগারোসিন্ধুর যখন ঢাকার দিকে যাচ্ছিল তখন এটার পেছনের অংশে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। সেখানে একটা সাইড কলিশন হয়েছে। যার ফলে হতাহত আছে। পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস সেখানে কাজ করছে। আমাদের উদ্ধারকারী ট্রেন ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে।”
ভৈরবের স্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা আছে। আপাতত ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কিশোরগঞ্জের রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে।