হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৮০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে হামাসের ছোঁড়া ৭ হাজার রকেটে এ পর্যন্ত ২৫০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে, আহত ৯ শতাধিক। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় অন্তত ২৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৬ শ ছাড়িয়েছে। অন্তত হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে প্রবেশ করেছ বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।
চলমান সংঘর্ষে যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।
শনিবার ভোরে গাজা, তেল আবিব, অবরুদ্ধ পূর্ব জেরুজালেমে বেজে ওঠে বিমান হামলার সাইরেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাজা থেকে ছোড়া রকেটে ছেয়ে যায় আকাশ। এই হামলাকে অপারেশন ‘আল আকসা ফ্লাড’ নাম দিয়েছে হামাস। আল-আকসায় চলমান উস্কানি এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের প্রতি নিপীড়নের জবাবে এই অভিযান।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবাইকে ইসরায়েল বিরোধী অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। সেডরোটের পুলিশ স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে হামাস। সেইসঙ্গে এক ভিডিওতে গাজায় ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানের দখল নিতে দেখা গেছে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের।
এদিকে হামাসের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। সক্রিয় করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। চলমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধাবস্থা ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, কোনো অভিযান বা মহড়া নয়, আমরা যুদ্ধে আছি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আশ্চর্যজনক আক্রমণ চালিয়েছে হামাস। অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীদের হঠাতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। শত্রুদের যে মূল্য দিতে হবে তা তাদের ধারণার বাইরে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে শঙ্কায় বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেছেন গাজার ফিলিস্তিনিরা। হামলার প্রতিক্রিয়ায় উল্লাস করেছে পশ্চিমতীরের নাবলুসের ফিলিস্তিনিরা।
হামাসের এই হামলার জেরে শনিবার বাতিল হয়েছে ইসরায়েলের বিচার বিভাগীয় সংশোধনী পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আয়োজিত সাপ্তাহিক বিক্ষোভ।