চট্টগ্রাম নগরে যানজট নিরসনে করণীয় নির্ধারণ করে প্রস্তাবনা দিবে চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগ আর তার ভিত্তিতে নগরের সড়ক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন-চসিক।
রোববার (১ অক্টোবর) নগরের টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন বিষয়ে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় চট্টগ্রামের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা, পে-পার্কিং, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সড়কে অপরাধ নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় মেয়র বলন, চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের প্রস্তাবনার আলোকে চসিক একসাথে কাজ করলে যানজট কমানো সম্ভব। বর্তমানে পার্কিং সংকটের কারণে যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে শহরে যানজট বাড়াচ্ছে। একারণে, আমি নগরে পে-পার্কিং চালু করতে চাই। এছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশা বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাড়িয়েছে, এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
প্রতিনিধি দলটি জানায়, ট্রাফিক বিভাগ দ্রুততম সময়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে চসিকের সাথে আলোচনায় বসবে। নগরে অনেক বড় মার্কেট ও বিশাল স্থাপনায় পর্যাপ্ত পার্কিং না থাকায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। এজন্য পার্কিং কোথায় হবে সেটা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া নগরের যেসব সড়কে আলোকায়নের ঘাটতি আছে সেখানে আলোকায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে ফ্লাইওভার ও প্রয়োজনীয় সড়কে ইলুমিনেটিং কালার ব্যবহার করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডিসি ট্রাফিক দক্ষিণ এন এম নাসিরুদ্দিন, ডিসি ট্রাফিক উত্তর মো. জয়নুল আবেদীন, ডিসি ট্রাফিক (পশ্চিম) মো. তারেক আহমেদ, ডিসি ট্রাফিক বন্দর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমসহ ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চসিকের ৩২তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র বলেন, টানেল চালু হলে শহরে গাড়ির চাপ আরও বাড়বে। যানজট কমাতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে হবে এবং রিকশার মতো ধীরগতির বাহনের লাগাম টানতে হবে।