শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২, ১০ জিলকদ, ১৪৪৬

কংগ্রেস, মুসলিম লীগের চেয়েও আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব অধিক

আওয়ামী লীগের জন্ম

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

আওয়ামী লীগ অজেয়, অবিনাশী দল। ১৯৪৯ সালে জন্মের পর থেকে এই দল ক্ষমতার ভেতরের এবং এমনকি বাইরেরও অনেক শক্তির চক্ষুশূল হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য কম চেষ্টা হয়নি। কিন্তু যতবারই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে ততবারই আওয়ামী লীগ যেন ফিনিক্স পাখির মতই ছাই ভস্ম থেকে জেগে উঠেছে এবং দ্বিগুণ-বহুগুণ শক্তিশালী হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে।
ভারতের কংগ্রেস এবং পাকিস্তানের মুসলিম লীগের চাইতেও রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব বা সাফল্য অধিক। কংগ্রেস (১৮৮৫) অবিভক্ত ভারতের প্রাচীনতম ও প্রথম রাজনৈতিক দল; মুসলিম লীগ (জন্ম ১৯০৬) অবিভক্ত ভারতের দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল। সে তুলনায় আওয়ামী লীগ অর্বাচীন দল। তবে আওয়ামী লীগের বয়সও কম হলো না, ৭৪ বছর চলছে এখন দলটির বয়স। কংগ্রেসের ১৩৮ বছর পর ও মুসলিম লীগের ১১৭ বছর পর আওয়ামী লীগের জন্ম। আওয়ামী লীগের যখন জন্ম হয়, ততদিনে ভারত উপমহাদেশ ১৯৪৭ সালে ভাগ হয়ে যথাক্রমে পাকিস্তান (১৪ আগস্ট ’৪৭) ও ভারত (১৫ আগস্ট ’৪৭) দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সুতরাং আওয়ামী লীগের জন্মসনকে (১৯৪৯) ভিত্তি বছর হিসেবে ধরে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে তুলনামূলক আলোচনা করলে দেখা যাবে কর্মকৃতিতে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চেয়ে আওয়ামী লীগের সাফল্যের পাল্লাই ভারি। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ- দুটি দলই একাধিকবার ভেঙেছে এবং বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। পাকিস্তান দেশটাও ভেঙে গেছে। মুসলিম লীগ তো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কংগ্রেস ১৯৬৯ সালে ভেঙে গেলে আর কখনো এক হতে পারেনি। ক্রমান্বয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বিশিষ্ট নেতারা একে একে কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও বর্তমানে কংগ্রেসের একটি খণ্ডিত দল মমতার তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে ক্ষমতায় আছে।
সে তুলনায় আওয়ামী লীগ দু’বার ভাঙলেও দু’বারই জোড়া লেগেছে; ঘরের লোকেরা ঘরে ফিরে এসেছে। আওয়ামী লীগ সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সামরিক ও স্বৈরাচারি শাসনের কারণে ২৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছে। এরপর দু’দফা আরো ১০ বছর বিরোধী দলের আসনে বসে ২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে সক্ষম হয় এবং সেই থেকে অদ্যাবধি ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে দলটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি নতুন দেশ বাংলাদেশÑযেখানে আমরা এখন বসবাস করছিÑ সে দেশটি প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ অন্যন্য অনন্য গৌরবের অধিকারী হয়েছে। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ ও দু’টি দেশ-যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দু’দেশেই স্বাধীন হয়েছে সাম্প্রদায়িক পাটোয়ারা ভিত্তিতে। বাঙালির মতো যুদ্ধ জয় করে নয়।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার (১৯৪৯) ৭ বছরের মধ্যে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের কেন্দ্রে ও প্রদেশে (পূর্ববঙ্গ, তখনো পূর্ব পাকিস্তান নামকরণ হয়নি) ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়নি। কেন্দ্রে শহীদ সোহরাওয়ার্দী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি সংখ্যলঘু সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন; প্রদেশে আতাউর রহমান খান মুখ্যমন্ত্রী হন। শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বড় অবদান হলো ব্রিটিশের সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি থেকে ১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইনে প্রবর্তিত পৃথক নির্বাচন প্রথা বাতিল করে যুক্ত নির্বাচন প্রথা প্রবর্তন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনও হয়েছিল পৃথক নির্বাচন পদ্ধতিতেÑতখন মোহামেডান আসন, নন-মোহামেডান আসন, ইউরোপিয়ান আসন, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান আসন, ভারতীয় খ্রিস্টান আসন, শিল্প ও বাণিজ্য আসন, উয়োমেন’স মোহামেডান আর্বান আসন, উয়োমেন’স জেনারেল আর্বান আসন, জমিদার আসন ইত্যাদি আসনে ভাগ করে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক ও আইন পরিষদের ভোট গ্রহণ করা হতো। করদাতারা ছিলেন ভোটার, সার্বজনীন ভোটাধিকার ছিলো না। এর ফলে বাঙালি ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে অভিন্ন জাতীয়তার দাবিদার হলেও বাঙালিকে উক্ত সাম্প্রদায়িক বিবেচনায় বিভক্ত নির্বাচনী প্রথায় বাঙালি জাতিকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম যুক্ত নির্বাচন প্রথা প্রবর্তন করে বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রশস্ত করে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫৬ সালের ১৪ অক্টোবর ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যুক্ত নির্বাচন বিল উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, “… যুক্ত নির্বাচন এক দেশ এক জাতিত্ববোধ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে এবং বিভেদমূলক সকল প্রবণতা নস্যাৎ করবে।”
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসকগোষ্ঠী শুধু পৃথক নির্বাচন নয়, ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর অমিতব্যয়ী, উচ্ছৃঙ্খল পুত্র সলিমুল্লাহকে ১৬ লক্ষ টাকা লোন দিয়ে ১৯০৬ সালে তাঁকে দিয়ে মুসলিম লীগ গঠন করায়। ঢাকার সমাজ ও জনজীবনের ওপর নবাব পরিবারের প্রভাবের অবসান ঘটানোর জন্য ৪৭-এর পূর্বেই কলকাতা থেকে ঢাকার এসে আবুল হাশিম সাহেব ১৫০ মোগলটুলীতে কর্মী শিবির গঠন করেছিলেন। ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধু, কামরুদ্দীন আহমদ, তাজুদ্দীন সাহেবরা এসে কর্মী শিবিরে যোগদান করেন।
জিন্নাহ সাহেবের দ্বিজাতিতত্ত্ব থেকে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার যে হলাহল উৎপন্ন হয়েছিলো, সেটি পান করে নীলকণ্ঠ হন বঙ্গবন্ধু। হিন্দু-মুসলিম দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে জাতি। এই বিভক্ত জাতিসত্ত্বাকে একক সত্তায় রূপান্তরের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নতুন করে সংগ্রাম আরম্ভ করতে হয়েছিলো। পাকিস্তানি জমানায় রাজনৈতিক সভা সমাবেশ যাঁরা দেখেছেন বা শুনেছেন, তাঁরা জানেন, তখন মুসলিম লীগ, জামায়াত নেজামে ইসলামী প্রভৃতি সাম্প্রদায়িক দলের নেতারা জনসভায় বক্তৃতা শুরু করতেন ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’, ‘নাহমাদুহু ওয়ানুছল্লি আলা আম্মা বাআদ’ ইত্যাদি দোয়া-দরূদ পড়ে। আর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সভার প্রারম্ভে কোরান, গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেল থেকে পাঠ করার রেওয়াজ চালু করেছিলেন। এতে বিভক্ত জাতিসত্ত্বার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পথ সুগম হয়েছিলো। তারপর ৬ দফায় স্বায়ত্তশাসনের কথা বলে জাতিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এই নবজাগ্রত বাঙালি জাতি স্বাধীনতার চেয়ে কম কিছুতে তৃপ্ত হতে রাজি ছিলো না। তাতেই না বঙ্গবন্ধুর মরণজয়ী সংগ্রাম ও সাধনায় আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলো।
যুক্ত নির্বাচন প্রথার ঐতিহাসিক তাৎপর্য হলোÑবঙ্গবন্ধু এক ব্যক্তি এক ভোটের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সেই নীতির ভিত্তিতে ভোট গ্রহণ করা হলে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হন। প্রদেশে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের অশুভ আঁতাত একজন বাঙালি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবে এটা মানতে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলো না। তাই তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে, যার পরিণতিতে বঙ্গবন্ধু ’৭১-এর ৭ মার্চ সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর আহবানে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাঙালি পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যে অসহযোগ আন্দোলন করেছিলেন, সেটি ১৯২১ সালে মহাত্ম গান্ধীর আহবানে নিখিল ভারত জুড়ে অনুষ্ঠিত অসহযোগের চেয়েও সর্বাত্মক, সফল, সার্থক ও সর্বব্যাপী হয়েছিলো। দুটি অসহযোগই ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। কিন্তু গান্ধীজীর অসহযোগের ওপর কংগ্রেসের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলো না, বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাসের প্রাবল্যে মহাত্মার অহিংস আন্দোলন সহিংস রূপ পরিগ্রহ করে। যার ফলস্বরূপ চৌরিচোরায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা থানা আক্রমণ করে পুলিশকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। এই নিদারুণ হত্যাকাণ্ডে গান্ধীজী এতই ব্যথিত ও বিচলিত হয়েছিলেন যে, তিনি অসহযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশের অসহযোগ আন্দোলনে কোন অপ্রীতিকর হিংসাত্মক কোন ঘটনা ঘটেনি। বঙ্গবন্ধু আহূত অসহযোগের ওপর তিনি এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় ছিলো। বঙ্গভবন ও ক্যান্টনমেন্ট ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের অস্তিত্ব ছিলো না। সচিবালয়, অফিস-আদালত ব্যাংক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনেই চলতো। পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ছিলো। একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন আওয়ামী লীগ হাই কমান্ডের নির্দেশে সুশৃঙ্খল উপায়ে পরিচালিত হয়েছে এবং তা অপ্রতিহত গতিতে অগ্রসর হয়ে মুক্তিযুদ্ধে রূপ নিয়েছে।
৭ মার্চের ভাষণে নেতা বঙ্গবন্ধু যেকথা বলেছিলেন “আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে রাস্তাঘাট যা যা আছে, সবকিছু জীবনের তরে বন্ধ করে দেবে।” সেটা মনে রেখে স্বাধীনতাকামী জনতা রাস্তাঘাট কেটে, ব্যারিকেড দিয়ে বাংলাদেশকে অচল করে রেখেছিলো। ফলে ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সৈন্যরা যখন ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাংক, কামান, রিকয়েললেস রাইফেল, আর্র্মাড্ ভেহিকেল নিয়ে ঢাকার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, তখন জনতার ঐ ব্যারিকেডই তাদের অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছিলো। সেগুলি সরিয়ে অগ্রসর হতে তাদের বেগ পেতে হয়েছিলো। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও পিলখানা ইপিআর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলো। ¬
২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করলে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

মুক্তিযুদ্ধে দোহাজারীর বীর চতুষ্টয় : খসরু-জাফর-রতন-কামাল

চট্টগ্রামের সভ্যতা মানুষ ও নদীর যুগ্ম-সৃষ্টি। ঐতিহাসিক কাল থেকে চট্টগ্রামে তিনটি বড় নদী পরিদৃষ্ট হয়। সর্ববৃহৎ কর্ণফুলী, অনতিবৃহৎ হালদা ও শঙ্খ নদী। কর্ণফুলী সদর ও

বিস্তারিত »

ষাটের_দশকের_ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সিরাজুল আলম

কাজী সিরাজুল আলম ষাটের দশকের শেষদিকে চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা ছিলেন। ৬৯-৭০-এ তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। তাঁর বাড়ি সীতাকুÐে; তিনি সীতাকুÐে ৬৯-এর

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে_চিকিৎসকদের অবদান ও ডা.শৈবাল কান্তি দাশ

মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের ভ‚মিকা নিরূপণের চেষ্টা করা হয়নি। তবে তাঁরা না হলে মুক্তিযোদ্ধারা, বিশেষ করে গেরিলা যোদ্ধাদের পক্ষে যুদ্ধে সফল হওয়া মুস্কিল ছিল। ইনফ্যান্ট্রি, আর্টিলারি, ক্যাভালরি

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে এ কে খানের ভাই এম আর খান ও তাঁর তিন পুত্রের অন্তর্ধান দিবস

সে এক ঘোর অমানিশার অন্ধকার নেমে এসেছিলো এই বাংলায়। সেই ঘন তমসা ভেদ করে স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষার প্রহর গুণে গুণে কত দুঃখিনি মায়ের প্রাণবায়ু বেরিয়ে

বিস্তারিত »

জালালাবাদের যুদ্ধে চট্টল বিপ্লবীদের কাছে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ বাহিনীর পরাজয়

৩০-এর ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার (দামপাড়া, বর্তমানে পুলিশ পাহাড়) দখলের পর ইস্টার্ন রিপাবলিকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রাগারের সম্মুখে সমবেত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা

বিস্তারিত »

প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা চাচা খালেক এবং ফটিকছড়ির বাদশা বাদশাহ আলম

এম এ খালেক (চাচা খালেক) অতীতে আওয়ামী লীগে এমন কিছু নেতা-কর্মী ছিলেন, যাঁরা পাগলের মতো আওয়ামী লীগকে ভালোবাসতেন। তাঁরা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কিছু বুঝতেন

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি

শেখ মোজাফফর আহমদ একজন অনন্য পুরুষ। নানা গুণে গুণান্বিত ছিলেন তিনি। তাঁর জীবন এক বিরল প্রতিভাধর মানুষের উপমা। নানাদিকে বিকশিত হয়েছে তাঁর প্রতিভা; যখন যেদিকে

বিস্তারিত »

চট্টগ্রাম ডুবছে জলজটে—

চারদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগর পানিতে ডুবে আছে। অবিরাম বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, নদী-নালা, এমনকি রাস্তাঘাটও ভাসিয়ে পানি থৈ থৈ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরদোর খিল এঁটে গৃহকোণে

বিস্তারিত »

বঙ্গবন্ধুর সহচর, রাউজান আ. লীগের সহপ্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক

      তাঁর পিতা ওছমান আলী মাস্টার ছিলেন শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের বন্ধু; সেই সূত্রেই হয়তো মাস্টার পুত্র সন্তান লাভের পর তার নামকরণ

বিস্তারিত »