বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন এবং শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদ কামাল চির জাগরুক হয়ে থাকবে বলে মত প্রকাশ করেছেন কামাল স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভার বক্তারা।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নগরীর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদ কামাল উদ্দিন এর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন চট্টগ্রামের ছাত্ররাজনীতিতে এক আলোকবর্তিকা ছিলেন শহীদ কামাল উদ্দিন। চট্টগ্রামের ছাত্ররাজনীতিতে সকল প্রকার অপশক্তির বিরুদ্ধে মূর্তিমান আতংক হয়ে উঠেন কামাল উদ্দিন। তার সাংগঠনিক দক্ষতার সাথে পেরে উঠতে না পেরে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে সেই সকল অপশক্তিরা। অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সহকর্মীকে রক্ত দিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যান কামাল উদ্দিন। বক্তারা আরো বলেন শহীদ কামাল উদ্দিন রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ত্যাগকেই রাজনীতির মূলমন্ত্র বলে ধারণ করেছেন। কামাল হত্যা পরবর্তী ছাত্র প্রজন্মই তৎকালীন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রামে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্টার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন এবং শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদ কামাল চির জাগরুক হয়ে থাকবে বলেও মত প্রকাশ করেন বক্তারা।
কামাল স্মৃতি সংসদের সভাপতি আনিসুর রহমান লিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন পাপ্পুর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ মনোয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ইকবাল, মাকসুদুল আলম বাবুল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহাবুবুল হক সুমন, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর আতাউল্লা চৌধুরী, শওকত হোসাইন, কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, ওয়াহিদুল আমিন, মো. ইব্রাহিম, জয়নাল আবেদীন চৌধুরী আজাদ, সাইফুদ্দীন আহমেদ, নায়েবুল ইসলাম ফটিক, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, মোহাম্মদ আলী মিঠু, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আশীষ সরকার নয়ন, ইবনে জামান ডায়মন্ড, তন্ময় দাশগুপ্ত, মোহাম্মদ তাসিন প্রমুখ।