মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত মামলার যুক্তি-তর্ক শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সময় চারজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নগরীর আকবর শাহ ও কর্ণফুলি থানায় বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করা হয়েছিল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে ২৩ মার্চ নগরীর আকবরশাহ থানার এনআর স্টিলমিলের সামনে ওয়াসিমের ভাড়াঘরে জেএমবির গোপন বৈঠক চলছিল। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালায় এবং এরশাদকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদি বইসহ জঙ্গি জিনিসপত্র আটক করে পুলিশ।
অভিযানের সময় অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় আকবর শাহ থানার এসআই শহিদের রহমান বাদী হয়ে এরশাদকে প্রধান আসামি করে ও দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধিত ২০১৩) ও বিস্ফোরক উপাদানবলী (সংশোধন) আইন ২০০২ ধারায় মামলা করেন। ২০১৫ সালের শেষের দিকে নগরীর কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া ভিন্ন তিনটি মামলায় বুলবুল আহমেদ সরকার, মো. সুজন ও মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তিনজনকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক অভিযোগ এনে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন আকবর শাহ থানার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ সোলায়মান। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।