চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উচ্ছেদকৃত সরকারি খাস জমিতে পুনরায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে উপজেলার বৈলতলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জাফরাবাদের নছরত আলীর বাপের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, বৈলতলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নছরত আলীর বাপের পাড়ায় ৩১শতাংশ সরকারি খাস জায়গা স্বাধীনতা উত্তরকাল হতে জয়নাল, আকতার, কামাল ও মনির আহমদ পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগ দখল করে বসবাস করে আসছিলেন। পরবর্তীতে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা খাস জমির খবর জানতে পেরে জমির কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে উচ্ছেদ মামলা নং ১৭৮/ ২০২৩ দায়ের করেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ১২ফেব্রুয়ারি ২০২৪তারিখে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে চন্দনাইশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমাকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন।
নির্দেশ পেয়ে ৬ মার্চ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) অভিযান পরিচালনা করে সরকারি জায়গার উপরে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩১শতাংশ জায়গা উপজেলা ভূমি অফিসের দখলে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি বোর্ড গাছে লাগিয়ে দেন। কিন্তু পনের দিন না যেতেই ওই পরিবার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুনরায় উচ্ছেদ হওয়া সরকারি খাস জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণে শুরু করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর পক্ষে জনৈক জাফর আলী উচ্ছেদকৃত বসতবাড়ির মালিকদের বেপরোয়া ক্ষমতা প্রদর্শন ও পুনরায় ঘর নির্মাণের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর ১৯ মার্চ অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন ও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়েছে বলে জানান।