চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাত পৌনে নয়টার দিকে হাটহাজারী থানার আব্বাছিয়া পুল ও রাত সোয়া বারটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন-একই থানার সৈয়দ বাড়ির মৃত রমজান আলী মিন্টু সওদাগরের ছেলে মো. আল-আমিন সাগর (৩০) ও মুরাদ নগর পাঠান পাড়ার মো.নবীর হোসেন বাচা মিয়ার ছেলে মো.ওবায়দুল কাদের প্রকাশ ওবায়দুল্লা সুমন (৩৮)।
র্যাব জানায়, মঞ্জুরুল ইসলাম একজন বালু ব্যবসায়ী ও স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন। বালুমহাল নিয়ে আসামিদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এর জের ধরেই এর আগে আসামিরা মঞ্জুরুল ইসলামকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
র্যাব আরও জানায়, রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মঞ্জুরুল ইসলাম শান্তিনিকেতন বালুরমহালে অবস্থানকালে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেখানে আসে। এসময় অস্ত্রসজ্জিত আসামিদের দেখে মঞ্জুরুল ইসলাম প্রাণভয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে ধাওয়া করে বালুর মাঠেই ফেলে কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মঞ্জুরুল ইসলামের পায়ের ওপরের অংশে ও নিম্নাংশে একাধিক গুলি করে গুরুতর জখম করে। এসময় ভিকটিমের সঙ্গে থাকা মো. সেকান্দরকেও তারা মারধর করে জখম করে।
‘তাদের আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মঞ্জুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে হাটহাজারী থেকে মঞ্জুরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি মো. আল-আমিন সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সোয়া বারটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে মো. ওবায়দুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।