নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, না নির্বাচনের আগের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে বিভিন্ন পার্টির (রাজনৈতিক দল) ভেতরে প্রচার-প্রচারণা বেড়ে যাবে, সভা-সমাবেশ বাড়বে।
আপনি বলছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে তাহলে এক সময় অবনতি ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই মাসের আগে অবনতি ছিল, এরপর উন্নতি হয়েছে। এক-দেড় বছর উন্নতির দিকে গেছে।
রাজধানীর পল্লবীতে যুবদলের নেতাকে গুলি করে হত্যা এবং পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের আগে একের পর এক এমন ঘটনা। একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক গণমাধ্যমে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক যারা হন উনাগো বইলেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষক কে আমি জানি না। সে নিরাপত্তা বিশ্লেষক কীভাবে হলো তাও আমি জানি না। আমাদের দেশেতো বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষক থাকে, কে কোথায় কীভাবে কোয়ালিফাইড হয়েছে তা আমি জানি না। সুতরাং না জানলে আমিতো কমেন্ট করতে পারি না।
গত ১৫ বছর রাজনৈতিক বিবেচনায় যে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সেই লাইসেন্স উদ্ধারের কোনো তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাইসেন্স যদি কেউ নিয়ে থাকে সেই তথ্য থাকবে। কিন্তু অবৈধভাবে যদি হাতিয়ার (অস্ত্র) থাকে সেই তথ্য মন্ত্রণালয়ে থাকবে না। ২০০৯ সালের পর থেকে সব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। শুধু সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কনসিডার করা হয়েছে।








