জীবন থেকে ছুটি নিলেন মোবারক ভাই। মোবারক ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শোনার পর থেকে আমার মধ্য নানা রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন এটা সত্য কিন্তু তাঁর মৃত্যুকে শুধু মৃত্যু বলে আমার মনে হচ্ছে না। এই মৃত্যুর মধ্যে আরে অনেক কথা, আরো অনেক তৎপর্য নিহিত আছে বলে আমি মনে করি। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে দেশ যে পথে হাঁটছে, তাতে কিছু মানুষ বোবা হয়ে গেছে, কিছু মানুষ নিরব হয়ে গেছে, কিছু মানুষ খুশি হয়েছে, কিছু মানুষ দুঃখ পেয়েছে। যারা সংবেদনশীল মানুষ, বাইরের ঘটনার অভিঘাতে যাদের অন্তরে নানা রকম সাড়া জাগে, অথচ তা প্রকাশ করতে তারা সংকুচিত হয়ে থাকেন, তেমন মানুষদের জন্য এই সময়টা হন্তারক ও প্রতারক সময় হিসেবে আবির্ভূত হয়। তারা বোবা যন্ত্রণায় গুমরে গুমরে কাঁদেন অথচ কারো কাছে তাদের মনোবেদনা প্রকাশ করতে পারেন না, এ পরিস্থিতি তাদের জীবনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে। তখন তাদের জীবন থেকে পলায়নের সময়। মোবারক ভাই একজন সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন এবং তিনি চারিদিকের অবস্থা দেখে শুনে কাতর হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কিছু করার ছিলো না, তিনি সহ্য করতে করতে সহ্য করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছিলেন। শেষে যখন আর সহ্য করতে পারছিলেন না, তখন তিনি জীবন থেকে ছুটি নিয়ে জীবন থেকে প্রস্থান বা অগস্ত্য যাত্রা করেছেন। তাঁর আকস্মিক অন্তর্ধান আমার কাছে এই তাৎপর্য নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে।
চারপাঁচ মাস আগে আমি মোবারক ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম তাঁর একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য। আমাকে নিউইয়র্ক থেকে তাগাদা দিচ্ছিলেন কোহিনূর ভাই (দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী) তাঁর সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য। আমি তাঁর বাসায় যাওয়ার পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, নাসির তুমি এসেছ খুশি হয়েছি, কিন্তু আমি কোন কথা বলব না। তুমি আমার ছাত্রজীবনের রাজনীতি, সংগঠন করার কথা জানতে চাইবে, কিন্তু সেসব কথা বলার মত পরিস্থিতি এখন দেশে নেই। তুমিও নিশ্চয় বুঝতে পারছ, পাকিস্তান আমলে আমরা ছাত্রলীগের একজন সংগঠক হিসেবে যেসব কাজ করেছি এবং তার ফলে দেশটা যে স্বাধীনতা লাভ করেছে, সেসব কথা শুনলে এখন অনেকের ভালো লাগবে না। তারা আমাকে নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করবে। আমি চট্টগ্রামে নিরিবিলি পরিবেশে অবসর জীবন যাপন করার জন্য এই শহর কুতুব হযরত গরীব উল্লাহ শাহ’র মাজারের সামনে বাসা নিয়েছি। আমি শেষ জীবনে মানসম্মান খোয়াতে চাই না। আমি দেখলাম তিনি তাঁর ইজ্জত নিয়ে, মান-মর্যাদা নিয়ে খুব চিন্তিত, শঙ্কিত। আমি সাক্ষাৎকারের জন্য চাপাচাপি না করে চলে আসি। আমি সেদিন থেকেই তাঁকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম যে তিনি দুশ্চিন্তায় ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন। এমনিতেই তাঁর শরীর ভালো যাচ্ছিলো না। তিনি ডাক্তারের নিয়মিত চেকআপের মধ্য ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। মোবারক ভাইয়েরও তখন অধিক বয়স । সেজন্য আমি চিন্তিত ছিলাম। ৪/৫ মাসের মধ্যেই তিনি ধরাশায়ী হয়ে যান, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেসব বৃথা । তিনি মৃত্যুর কাছে হার স্বীকার করে স্বস্তি লাভ করেন।
আমার সন্দেহ হয়, দু’জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা ও হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার এবং জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্থা করার কথা শুনে তিনি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তিনি যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন না, নির্বাচন কমিশনার তো ছিলেন।
পাকিস্তানের জন্মের ৪২ দিন আগে ১ জুন ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীতে এসেছিলেন আবদুল মোবারক, আমাদের মোবারক ভাই। হাটহাজারী থানার ছিপাতলী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা আবদুর রহমান ও মাতা সুফিয়া খাতুন।
আবদুল মোবারক ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে নাজিরহাট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এক বছর পর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি হন এবং ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে গ্র্যাজুয়েশন করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে এমএ-তে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় বালাগামওয়ালা ভেজিটেবল অয়েল মিল নামক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় তাঁর চাকরি হওয়ায় তিনি আর পড়াশোনা করেননি।
আবদুল মোবারক ষাটের দশকের একজন প্রতিভাশালী ও প্রভাবশালী ছাত্রনেতা। তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের রাজনীতি ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নীতিনির্ধারণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহবানে ৭১-এর ২৬ মার্চ দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য ভারতে যান এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে প্রবেশ করে যুদ্ধ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ভারত থেকে পূর্বাঞ্চলীয় বিএলএফ কমান্ডার শেখ ফজলুল হক মনি এসএম ফজলুল হককে (পরবর্তীকালে চাকসু’র ভিপি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বিজিএমইএর সভাপতি এবং রাজনৈতিক জীবনে প্রথমে জাসদ ও পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে এখনও সে দলই করছেন) হাটহাজারী থানার বি.এল.এফ প্রধান করে পাঠান। সে সময় উদালিয়ার আবদুল হাদির খামার বাড়িতে হাটহাজারী থানার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত বৈঠকে হাটহাজারী থানার বিএলএফ কমান্ড পুনর্গঠন করা হয়। বৈঠকে মুক্তিবাহিনী প্রধান ফজলুল আমিন মাস্টার ফজলুল হকের কাছে তাঁর দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। সে বৈঠকে আবদুল মোবারককে মুক্তিযুদ্ধকালে থানার বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব প্রদান করা হয়। প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয় নুরুল আফসার চৌধুরীকে (পরবর্তীকালে খাদ্য ও চিনি শিল্প সংস্থার মহা ব্যবস্থাপক)। অপারেশনের দায়িত্ব দেয়া হয় সি-ইন-সি স্পেশাল ট্রেনিংপ্রাপ্ত এস. এম কামাল উদ্দিনকে (সিটি কলেজের সাবেক ভিপি) এবং মুক্তিযোদ্ধাদের (বিএলএফ ও এফ এফ) সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফজলুল আমিন মাস্টারকে (কাটিরহাট হাইস্কুলের ছাত্রপ্রিয় হেডমাস্টার)। মোহাম্মদ ইদ্রিস (স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি) ছিলেন হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড থানা নিয়ে গঠিত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সদস্য।
স্বাধীনতার পর অবাঙালি মালিকদের ফেলে যাওয়া কলকারখানাগুলোকে রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়। এমনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত মিল ছিলো নাসিরাবাদের বালাগামওয়ালা ভেজিটেবল অয়েল মিল। সরকার প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার ইব্রাহিমকে উক্ত মিলের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দান করে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর এই মিলে কয়েকজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন। তাঁদের মধ্যে আবদুল মোবারক একজন। এছাড়া বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আফসার চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল হারুন, মাস্টার রফিকুল আলম চৌধুরী ও আবদুস ছালাম বিভিন্ন পদে বালাগামওয়ালার চাকরিতে নিযুক্ত হন।
মোবারক ভাই বালাগামওয়ালায় থাকার সময় আমি একদিন সেখানে গিয়েছিলাম ইউসুফ ভাইয়ের (এসএম ইউসুফ) সঙ্গে। সেখানে মোবারক ভাইয়ের সঙ্গে ভাত খাওয়ার কথা মনে পড়ে। তিনি খুব সুন্দর মনের সুন্দর মানুষ ছিলেন। মোবারক ভাই’র কথাবার্তা এবং চলাফেরায় আভিজাত্য ফুটে উঠতো। আরেকবার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থাকার সময় মোবারক ভাই রফিক সাহেবের আগ্রহে তাঁর পিএস হয়েছিলেন। সেসময় আমি রফিক সাহেবের মিন্টু রোডের বাসায় গেলে মোবারক ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। বিভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং কথা বলার মাধ্যমে আমি তাঁকে একজন জ্ঞানী ও গুণী মানুষ হিসেবে দেখেছি। স্নিগ্ধ রুচির মার্জিত স্বভাবের ভদ্র, নম্র মানুষ ছিলেন তিনি। ছাত্রলীগে এমন রূপবন্ত গুণবন্ত মানুষ আর যাঁকে দেখেছি তিনি হচ্ছেন চট্টগ্রাম কলেজের ভিপি জালাল ভাই। অনিন্দ্যকান্তি দেহবল্লরীর মানুষটির অবয়বে একটি ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠতো। তিনি স্বভাবতই রাশভারী গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিসিএস কোয়ালিফাই করেন এবং ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাডারে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে এডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাডারে যোগদান করে সে বছরই কুমিল্লায় সহকারী কমিশনার নিযুক্ত হন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে রাজস্থলিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পদে যোগদান করেন। দু’বছর সেখানে চাকরি করে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুনামগঞ্জে এডিসি, ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে নোয়াখালীতে এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা জেলার এডিএম নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে ডেপুটি কমিশনার পদে তাঁর পদোন্নতি হয় এবং তাঁকে শেরপুরের জেলা প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকা জেলার ডিসি নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডাইরেক্টর জেনারেল পদে যোগদান করেন। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং ২০০২ খ্রিস্টাব্দে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ওএসডি করা হয়, পরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর আবদুল মোবারক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থা যেমন বিটিআরসি, ইউএনডিপি, এডিপি এবং আইকিউ ডিজাইন এর আইন পরামর্শক এবং নভেম্বর, ২০০৯ হতে বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি), বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে তিনি নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হন এবং ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত উক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
আবদুল মোবারক চাকরি জীবনে কৃতিত্বের জন্য বিভিন্ন সময়ে নানা পদক ও সম্মাননা লাভ করেন। এসব পদক ও সম্মাননা হলো : মেডেল অব মেরিটস অব বাংলাদেশ স্কাউটস, ১৯৯৯; সার্টিফিকেট অব এপ্রিসিয়েশন, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, ২০০৩; লেটার অব এপ্রিসিয়েশন, লিগ্যাল এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ২০০৭; জনপ্রশাসনে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের প্রথম মেডেল, মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত, ২০০৯; আইন ও প্রশাসন বিষয়ে অসামান্য অবদানের জন্য বিসিএস (প্রশাসন) একাডেমি সম্মাননা লাভ করেন।
২০১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকার সদস্য হন। ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে সাধারণ সদস্য হয়ে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে জীবন সদস্য ৮৩৯/৯৫ লাভ করেন। তিনি একাধিকবার সমিতির বৃত্তি উপ- কমিটির আহ্বায়ক এবং গঠনতন্ত্র সংশোধন উপকমিটি, পদক উপ-কমিটি, নিয়োগ উপ-কমিটি, মেজবান ও মিলনমেলা উপ-কমিটি, সম্মাননা উপ-কমিটি, অভিষেক উপ-কমিটি, সমিতি নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, নির্বাহী পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ, ট্রাস্টি বোর্ডসহ সমিতির নীতি নির্ধারণী কর্মকাণ্ডে অবদান রাখেন।
আবদুল মোবারক চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড নিবাসী চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক নূরুল হুদার কন্যা আখতার নাহারের সাথে ১৬ এপ্রিল ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তাঁদের একমাত্র সন্তান মুসাররাত সুলতানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে মার্কেটিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে স্বামী হুসাইন মুহাম্মদ জুবাইয়েরের সাথে কানাডায় বসবাস করছেন।
আবদুল মোবারক ২০২৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ জুলাই পরলোকগমন করেন।