সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ়, ১৪৩২, ২৬ জিলহজ, ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ, বাঙালি জাতিসত্তার নির্মাণ ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাথা

আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৩ বছরের অবিরাম সংগ্রাম এবং অবশেষে ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধ করে দেয়ার কথা উঠতে পারে, এটাই আওয়ামী লীগের জন্য বড় দুর্ভাগ্য। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, কেউ স্বীকার করতে না চাইলেও এটাই সত্য।
আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মদিন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন পুরোনো ঢাকার টিকাটুলী কে এম দাশ লেইনের রোজ গার্ডেন হল রুমে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীর আহবানে অনুষ্ঠিত এক কনভেনশনে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ভূমিষ্ঠ হয়। নবজাতকের নামকরণ করা হয়েছিলো পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ, সেদিন সাম্প্রদায়িকতাকবলিত রাজনৈতিক পরিবেশে সেটাই ছিলো সঙ্গত। শুধু আওয়ামী লীগ নামকরণ করলে মুসলিম লীগ সরকার খড়গ নিয়ে ছুটে আসতো। নতুন দলের মধ্যে ‘হিন্দুয়ানি’ আবিষ্কার করে উদ্যোক্তাদের দেশদ্রোহী আখ্যা দেয়ার অপপ্রয়াস পেতো।
যাই হোক, আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হয়েছিলেন মওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক এবং যুগ্ম সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান (পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু)। পদ না নিলেও সোহরাওয়ার্দী সাহেবই ছিলেন মূল নেতা। তিনি পরে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হন।
রোজ গার্ডেন সম্মেলনে চট্টগ্রাম থেকে ১১ জন ডেলিগেট যোগ দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। অনেক অনুসন্ধান করে ১০ জনের নাম আমি জানতে পেরেছি। তাঁরা হচ্ছেন এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, সালারে জিলা শেখ মোজাফফর আহমদ (শহীদ), আমীর হোসেন দোভাষ, মওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী, মওলানা আবু তাহের, ইউনুস খান, মওলানা ছালে জহুর, মওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, রেদওয়ানুল বারী। বাকী একজনের নাম নিয়ে আমি নিঃসন্দেহ হতে পারিনি। এক্ষেত্রে তিনটি বিকল্প নাম আমি বিবেচনায় এনেছি। তিনটি নাম হচ্ছে- আবুল খায়ের সিদ্দিকী, গোরা আজিজ (চকরিয়ার আজিজুর রহমান) ও হারবাংয়ের ডা. আনোয়ার হোসেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে একজন আবুল খায়েরের নাম আছে। আবু খায়ের সিদ্দিকী ছাড়া দ্বিতীয় কোন আবুল খায়ের আমি চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুঁজে পাইনি। বঙ্গবন্ধুর ন্যায় সিদ্দিকীও বিভাগ-পূর্ব মুসলিম লীগের রাজনীতিতে সোহরাওয়ার্দী ব্লকে ছিলেন। ফজলুল কাদের চৌধুরীও তাই। সিদ্দিকী এবং চৌধুরী রোজগার্ডেন সম্মেলনে যোগদানের জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনীকাররা এমন তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকা গিয়ে চৌধুরী মত পরিবর্তন করেন। রোডগার্ডেন-এ তিনি আর যাননি। সিদ্দিকী সম্পর্কে ভিন্ন কোন তথ্য আমি পাইনি । সুতরাং তিনি রোজগার্ডেন সম্মেলনে যেতেও পারেন। তবে সিদ্দিকী পরবর্তীকালে কখনো আওয়ামী লীগ করেন নি। তিনি সারাজীবন মুসলিম লীগেই ছিলেন। তাকে বাদ দিলে গোরা আজিজের নাম আসে। গোরা আজিজ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। স্বাধীনতার পর তাঁকে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রাম থেকে গণভবনে ডাকিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠতা থেকে এমনটা ভাবতে প্রলুব্ধ হই যে, তিনি হয়তো রোডগার্ডেন সম্মেলনে গিয়েছিলেন। তিনি যদি না যেয়ে থাকেন তাহলে যে নামটি আমার সামনে চলে আসে সেটি হলো ডা. আনোয়ার হোসেন। তিনি এম এ আজিজ ও জহুর আহমদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের আগে পরে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তাঁর বলিষ্ঠ পদচারণার প্রমাণ পাওয়া যায়। একারণে তাঁর রোজ গার্ডেন সম্মেলনে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রোজ গার্ডেন সম্মেলন থেকে এসেই নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রামে আওয়ামী মুসলিম লীগের শাখা গঠন করার জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেন এবং অল্প দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে ফেলেন । চট্টগ্রামে প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগের একটিই কমিটি গঠন করা হয়। টেকনাফ থেকে শুভপুর পর্যন্ত একটিই চট্টগ্রাম জেলা- চট্টগ্রামে দুটি মহকুমা—সদর ও কক্সবাজার; রাঙামাটিও চট্টগ্রাম জেলার অধীন একটি মহকুমা। শহর আওয়ামী লীগ ছিলো তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। শহর আওয়ামী মুসলিম লীগের স্ট্যাটাস ছিলো একটি সাংগঠনিক থানার সমান।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সালারে জিলা শেখ মোজাফফর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ। জহুর আহমদ চৌধুরী জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অথবা সহ-সভাপতির পদ অলংকৃত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনীতেও প্রথম দিকে বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন প্রসঙ্গ আলোকপাত করেছেন। তিনি লিখেছেন প্রথম দিকে দু’কমিটি জেলায় সেখানকার নেতার আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করে ফেলেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম একটি। অন্য যে তিন জেলার তিনি নাম উল্লেখ করেন, সে তিন জেলা হলো- আবদুল জব্বার খদ্দরের নোয়াখালী, মশিউর রহমানের যশোর, মুজিবুর রহমানের রাজশাহী। চট্টগ্রামে তাঁর বন্ধু আজিজ, জহুর, শেখ মোজাফফর এবং ডা. সুলতান আহমদের কথা উল্লেখ করেছেন। ডা. সুলতান পরে কুমিল্লায় স্থানান্তরিত হয়ে সেখানেই বাকী জীবন অতিবাহিত করেন।
১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের শেষভাগ অথবা ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের প্রথমভাগে আমীর হোসেন দোভাষকে সভাপতি ও জহুর আহমদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে পৃথক শহর আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়।
সাতচল্লিশের দেশভাগের পূর্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রাম যথা ফকির বিদ্রোহ, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, তিতুমীরের লড়াই, ফরায়েজী আন্দোলন, সিপাহী বিদ্রোহ, ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জাতীর কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর কংগ্রেসের নেতৃত্বে স্বাধীনতা কংগ্রেসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা- যেমন স্বদেশী আন্দোলন, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন, খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন, বিওসির শ্রমিক ধর্মঘট, আসামের চা বাগান শ্রমিকদের রক্তাক্ত আন্দোলন চাঁদপুরে। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে অস্ত্রাগার দখল ও স্বাধীনতা ঘোষণা করে চট্টগ্রামের বিদ্রোহ, ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রীতিলতার নেতৃত্বে পাহাড়তলীতে ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের পর প্রীতিলতার আত্মাহুতি- সংগ্রামের এইসব ধাপ অতিক্রম করে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট বিপ্লবে ব্রিটিশকে ভারত ছাড়ার জন্য যখন ভারতবাসীর চরম সংকল্প ঘোষণা হলো, ঠিক তখনই মুসলিম লীগ দ্বিজাতিতত্ত্বের ধুয়া তুলে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য অনমনীয় জেদ ধরলে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম সাম্প্রদায়িকতার চোরাবালিতে বিপথগামী হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের ভিত্তি কেঁপে উঠেছিলো, নেতাজী সুভাষ বসু এই সুযোগে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু আমেরিকার পারমানবিক বোমা নিক্ষেপের পর জাপানের আত্মসমর্পণ, পরপর হিটলার ও মুসোলিনির পরাজয়ের পটভূমিতে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী ভারতীয় উপমহাদেশকে পাকিস্তান ও ভারত দুটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করে ক্ষমতা ত্যাগ করে। সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম, শরতচন্দ্র ও কিরণ শঙ্কর রায় শেষ মুহূর্তে বাংলা ভাগ ঠেকাতে চেয়েও ব্যর্থ হন।
পাকিস্তান হলো, কিন্তু বাঙালি স্বাধীনতা পেলো না। বাংলাদেশ (সে সময় পূর্ববঙ্গ) নতুন করে গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ হলো। বঙ্গবন্ধু এটা সবার আগে বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি কলকাতা থেকে ঢাকা আসার পূর্বে ইসলামিয়া কলেজের সিরাজদ্দৌলা হলে তাঁর বিশ্বস্ত সহকর্মীদের নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হয়ে বলেছিলেন আমরা হয়তো স্বাধীনতা পেলাম না। আমাদের নতুন করে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করতে হবে ঢাকায় গিয়ে।
ঢাকায় এসে আওয়ামী লীগ গঠনের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতার সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন তিনি । ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ নভেম্বর ঢাকার মুকুল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ অক্টোবর ঢাকার রূপমহল হলে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবক্রমে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগকে অসাম্প্রদায়িক দলে পরিণত করা হলো।
১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর নেতা সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র নেতা হন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮, ১৯, ও ২০ মার্চ ঢাকার ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। ৬৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে ৬ দফা ঘোষণা করার পর পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতি নতুন ধারায় প্রবাহিত হতে থাকলো। সেই ধারা হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ। তাঁর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের হলো। ৬৯-এর প্রবল গণঅভ্যুত্থানে সেই মামলা খড়কুটের মতো উড়ে গেল। ক্যান্টনমেন্টের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি হলেন ‘বঙ্গবন্ধু’ । ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাঙালির একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃত হলো। পাকিস্তানি জেনারেলরা বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালির হাতে ক্ষমতা না দেয়ার চক্রান্তে মেতে উঠলো। চাপের মুখে ৩ মার্চ ‘৭১ ঢাকায় সংসদ অধিবেশন ডেকেও ১ মার্চ এক আকস্মিক ঘোষণায় ইয়াহিয়া সেই অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলো।
২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী গণহত্যার মিশন নিয়ে বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিরা সম্পূর্ণ পরাজয় বরণ করে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে। সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগেরই অবদান।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

মুক্তিযুদ্ধ যাঁরা শুরু করেছিলেন তাঁরা চলে গেছেন, হারিছই আছেন একা

চট্টগ্রাম শহরে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ করেছিলেন, তাঁরা চলে যাচ্ছেন। সাতজন ছিলেন তাঁরা, পাঁচজন ইতিমধ্যে তাঁদের প্রভুর ডাক পেয়ে এ গ্রহ ছেড়ে চলে গেছেন প্রভুর সন্নিধানে।

বিস্তারিত »

সুলতান কুসুমপুরী ও তাঁর কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার আবু’র মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের ১৩জন এমপি সম্মুখ যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তারা সেনা কর্মকর্তাদের ন্যায় মুক্তিযুদ্ধে তাদের গ্রæপকে কমান্ড করেন। এই ১৩ জন এমপি

বিস্তারিত »
প্রদ্যোৎ কুমার পাল

৭১-এর দুরন্ত গেরিলা প্রদ্যোৎ কুমার পাল

প্রদ্যোৎ কুমার একজন অসম সাহসী বীরের নাম। মুক্তিযুদ্ধে এই দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা দক্ষিণ চট্টগ্রামের রণাঙ্গণ মাতিয়ে রেখেছিলেন তাঁর অসীম সাহস ও পরাক্রম দিয়ে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চারটি

বিস্তারিত »

দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ক্যান্টনমেন্ট বরকল, শাহজাহান ইসলামাবাদী জিওসি

মুক্তিযুদ্ধের এক কিংবদন্তী শাহজাহান ইসলামাবাদী। দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের তিনিই ছিলেন প্রধান নায়ক। কিংবা এভাবেও বলা যায়, তাঁকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ গড়ে উঠেছিল। তাঁর

বিস্তারিত »

স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের অগ্রসৈনিক মিরসরাইর অহিদুল হক

অহিদুল হক মুক্তিযুদ্ধে যে অসাধারণ বীরত্ব, অসীম সাহস ও শৌর্যবীর্যের পরিচয় দেন, তা মিরসরাই থানার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে জাতীয় মুক্তির

বিস্তারিত »
বাংলাদেশে পিএইচপির উদ্যোগে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত প্রোটন ব্রান্ডের গাড়ি তৈরির কারখানা উদ্বোধনের পর মোনাজাত করছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং পিএইচপির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুফি শিল্পপতি মিজানুর রহমান ।

দার্শনিক শিল্পপতি সুফি মিজানুর রহমান পুরুষোত্তম

বাংলাদেশে পিএইচপির উদ্যোগে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত প্রোটন ব্রান্ডের গাড়ি তৈরির কারখানা উদ্বোধনের পর মোনাজাত করছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং পিএইচপির

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে দোহাজারীর বীর চতুষ্টয় : খসরু-জাফর-রতন-কামাল

চট্টগ্রামের সভ্যতা মানুষ ও নদীর যুগ্ম-সৃষ্টি। ঐতিহাসিক কাল থেকে চট্টগ্রামে তিনটি বড় নদী পরিদৃষ্ট হয়। সর্ববৃহৎ কর্ণফুলী, অনতিবৃহৎ হালদা ও শঙ্খ নদী। কর্ণফুলী সদর ও

বিস্তারিত »

ষাটের_দশকের_ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সিরাজুল আলম

কাজী সিরাজুল আলম ষাটের দশকের শেষদিকে চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা ছিলেন। ৬৯-৭০-এ তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। তাঁর বাড়ি সীতাকুÐে; তিনি সীতাকুÐে ৬৯-এর

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে_চিকিৎসকদের অবদান ও ডা.শৈবাল কান্তি দাশ

মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের ভ‚মিকা নিরূপণের চেষ্টা করা হয়নি। তবে তাঁরা না হলে মুক্তিযোদ্ধারা, বিশেষ করে গেরিলা যোদ্ধাদের পক্ষে যুদ্ধে সফল হওয়া মুস্কিল ছিল। ইনফ্যান্ট্রি, আর্টিলারি, ক্যাভালরি

বিস্তারিত »