ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছে। রাজধানী কিয়েভের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতালেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এতে এক চিকিৎসকসহ প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করেছে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা অংশ নিজেদের ওই হাসপাতালে আঘাত হেনেছে।
ওমাৎজিৎ নামের ওই হাসপাতালের চিকিৎসক লেসিয়া লিসাৎজিয়া বলেন, হঠাৎ যেন চলচ্চিত্রের কোনো দৃশ্যের ঘটনা ঘটে গেল তীব্র আলো এবং পরপরই ভয়ংকর একটি শব্দ। তিনি জানান, হামলায় হাসপাতালের একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। অপর একটি অংশে আগুন ধরে যায়। তাঁর মতে, হাসপাতালটির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাজধানীসহ দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেনের পাঁচটি শহর ও নগরে রাশিয়া কয়েকডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এতে অন্তত ৩৭ জন নিহত এবং ১৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
এসব হামলায় স্কুল ও হাসপাতালসহ প্রায় একশ’টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলেনস্কি এ হামলার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি রাশিয়ার হামলার কঠোর জবাব দেয়ার জন্যে ইউক্রেনের মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে রুশ হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা জোরদারে নতুন পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।