চাঁদপুরে পারভীন আক্তার হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ। তবে একই মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রসু খাঁর ভাগনে জহিরুল ইসলাম ও তার সহযোগী ইউনুছের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে. এম ইমরুল কায়েশের নেতৃত্বে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রসু খাঁ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মুন খাঁ ওরফে আবু খাঁর ছেলে। আর জহিরুল পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মোস্তাফার ছেলে এবং ইউনুস একই গ্রামের মৃত মিসির আলীর ছেলে।
২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় গাজীপুরের টঙ্গী থেকে রসু খাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার মোবাইল ফোনের সূত্রে স্থানীয় এক কিশোরী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ডে মুখ খোলেন রসু খাঁ। যেখানে বেরিয়ে আসে গা শিউরে ওঠা তার সব ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। যা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
আদালতের আদেশে রিমান্ডে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে রসু খাঁর ১১টি খুনের কথা ওঠে আসে। রসু খাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর মধ্যে খুলনার পোশাককর্মী শাহিদা হত্যা মামলায় প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুণাভ চক্রবর্তী রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
২০০৯ সালের ২০ জুলাই রাতে রসু খাঁ ও অপর আসামিরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্য হাঁসা গ্রামের নির্জন মাঠে পারভীন আক্তার নামে এক নারীকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এই মামলায় চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০১৮ সালের ৬ মার্চ রসু খাঁ ও তার ভাগ্নে জহিরুল ইসলামসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরবর্তীতে এই রায়ের ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে, অপরদিকে আপিল করে আসামিপক্ষ।