নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে স্বল্প রানে আটকে সহজ জয়ের কাজটি করে রাখে মোস্তাফিজ-রিশাদরা। এরপর মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। তবে মাঝখানে লিটনকে সঙ্গী করে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ঝোড়ো রান এবং শেষে মাহমুদউল্লাহর কুল ফিনিশিংয়ে এক ওভার বাকি থাকতেই দুই উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শনিবার (৮ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ২৮ রানের মধ্যে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে টাইগাররা। তানজিদ হাসান তামিম ৬ বলে ৩, নাজমুল হাসান শান্ত ১৩ বলে ৭ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন লিটন দাস। ৬৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন হৃদয়।
তবে এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৯১ ও ৯৯ রানে ২০ বলে ৪০ রান করে হৃদয় ও লিটন ৩৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন।
এরপর দলীয় ১০৯ রানে ১৪ বলে ৮ রান করে সাকিব আল হাসান আউট হলে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ৬ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে নুয়ান তুষারা নেন ৪টি উইকেট।
এর আগে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক শান্ত। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের পক্ষে পাথুম নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৪৭ ও ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা ২৬ বলে ২১ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ ও মোস্তাফিজ নেন ৩টি করে উইকেট।